বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আদেশ স্থগিত করতে বিইআরসিকে চিঠি
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো আদেশ পুনর্বিবেচনা করা এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বর্তমান আদেশ স্থগিত করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বিইআরসি’র আদেশে গণশুনানীতে অংশ নেয়া ভোক্তা সাধারণ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য আমলে নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
দাম বাড়ানোর যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তাকে কমিশনের নির্বাহী আদেশ বা সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করা চলে না। আদেশ বিচারিক আদেশের অনুরূপ হয়নি। আইনী বিবেচনায় তার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ও অসংগতিপূর্ণ।
বিইআরসিকে গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স ও কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষ থেকে ক্যাবের সভাপতি কাজী ফারুক স্বাক্ষরিত ২৫ ও ৩০ মার্চ পাঠানো আলাদা আলাদাভাবে এই চিঠি দেয়া হয়।
সিপিবি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে– বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণফোরাম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি, কমিউনিস্ট লীগ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
চিঠিগুলোতে বলা হয়েছে, গণশুনানীতে দাম বাড়ানোর আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোন পক্ষই দাম বাড়ানোর পক্ষে ‘সামান্য একটি’ যুক্তিও তুলে ধরেননি। অথচ মূল্যবৃদ্ধির আদেশ দেয়া হল। এই মূল্যবৃদ্ধির আদেশ অযৌক্তিক।
চিঠিতে বলা হয়, গণশুনানীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, জনবল নিয়োগ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় যথাযথ কিনা তা বিশেষভাবে মূল্যায়নের আবেদন জানান হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে পর্যালোচনা না করে বিদ্যুতের মূল্যহার পুনঃনির্ধারণ মোটেই যৌক্তিক হতে পারে না। চিঠিতে আরো বলা হয়, মিনিমাম চার্জ, মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল। এটি না করায় আর্থিকভাবে দরিদ্র গ্রাহকরাই ইউনিট প্রতি বেশী বিল দিতে বাধ্য হচ্ছে। যা অনৈতিক।