বিদ্যুতের বকেয়া বিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা
বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এর বেশির ভাগই বেসরকারি খাতের।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
সরকারি দলের সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমাণ চার হাজার ৯২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৪৮৪ কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত খাতে ৩৮৫ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার এবং বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলীর ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মে ও জুন মাসে প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ব্যাটারিচালিত অটো যানবাহন চালুর প্রথম দিকে অনিয়ন্ত্রিত চার্জিংয়ের জন্য সরকার এটি বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সরকার এসব যানবাহনের জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে এবং তুলনামূলক পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এসব যানের নিয়ন্ত্রিত চার্জিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে জন্য ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য কেরানীগঞ্জ ও সিলেটে দুটি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। আরও আটটি স্টেশন স্থাপনের কাজ চলমান আছে।
মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ২৪ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।