বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি: বাজার নির্ভর না বেশি

আধুনিক জীবনে বিদ্যুৎ একটি অপরিহার্য উপাদান।বিদ্যুৎ ছাড়া নগর জীবন অকল্পনীয়।পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই সকল মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে।বাংলাদেশের সংবিধানও সকল মানুষের বিদ্যুৎ দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে।যদিও তা সকলকে এখনো দেয়া সম্ভব হয়নি।বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে।আর বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করা ৫৪ ভাগ মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশই দরিদ্র।

এই প্রেড়্গাপটে সরকার চেষ্টা করছে সহজ মূল্যে সকলের কাছে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার।কিন্তু দীর্ঘদিন প্র্রয়োজন অনুযায়ি পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ উত্পাদন হয়নি।দিন দিন মানুষ বেড়েছে।বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে।কিন্তু সে অনুযায়ি উত্পাদন বাড়েনি।অল্প সময়ে বেশি চাহিদা একসাথে মেটাতে গিয়েই বিদ্যুৎ উত্পাদন খরচ বেড়েগেছে।উত্পাদন খরচ যেমন বেড়েছে তেমন বেড়েছে উত্পাদনও।পদ্ধতিগত বিতর্ক থাকলেও গত কয়েক বছরে বিদ্যুতের উত্পাদন বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

আর সেই বাড়তি উত্পাদন খরচ মেটাতেই বার বার বাড়াতে হচ্ছে বিদ্যুতের দাম।গত কয়েক বছরে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়েছে।অন্য সকল পণ্যের মতই এর দামও বেড়েছে।শুধু দেশের অভ্যান্ত্মরীণ নয় আন্ত্মর্জাতিক কারণেও বাড়তি টাকা গুণতে হয়েছে।নীতি নির্ধারকরা কি পারতো এই দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে? সে প্রশ্নই এখন সামনে এসেছে।

বিদ্যুৎ ব্যবহারকারিদের মধ্যে কয়েকটি শ্রেণী দেখা যাচ্ছে।কোন কোন শ্রেণী সংবিধানের স্বীকৃতি অনুযায়ি বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে চান।কেউ চান ন্যায্য দামে পেতে।কেউ দামের দিকে তাকাতে চান না।ঠিকমতো বিদ্যুৎ পেলেই হলো।

সব দিক কি বিচার করেই আগাচ্ছে নীতি নির্ধারকরা বা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)? কমিশন কি বিচার করছে কেন পিডিবি উত্পাদন খরচ বাড়াচ্ছে।আর এই উত্পাদন খরচ বাড়ানো যুক্তি যুক্ত কিনা।না হলে সেখানে সংশোধনের পরামর্শ কি দিচ্ছে? আর অন্যদিকে সরকারও কি তার সকল জনগণের ক্রয় ড়্গমতার দিকে খেয়াল করে বিদ্যুৎ উত্পাদন খরচের দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছে পিডিবিকে? নাকি যাদের আর্থিক সমর্থ তৈরী হয়েছে শুধু তাদের বিবেচনায় রেখেই আগানো হচ্ছে? এ প্রশ্নগুলোই এখন আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।কি করা যেত বা কি করা হয়নি তা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে।

গত কয়েক বছরে বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ দ্বিগুণ হয়েছে।আর এই দ্বিগুণ শুধু টাকায় হয়নি।হয়েছে ডলারেও।এখন এই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে যে আপনার কাছে টাকা থাকলেও আপনি বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারবেন না।ডলার থাকতে হবে।ডলারে শোধ করতে হবে বিদ্যুতের দাম।আবার ডলারে কিনতে হবে বিদ্যুত্ উত্পাদনের জ্বালানি তেল।বিদ্যুৎউত্পাদন না হলেও মাস গেলে হাজার ডলার দিতে হচ্ছে।এই খরচটা পরিকল্পিতভাবে করা যেত।যেটা হয়নি।এখানে কিছুটা খরচ কমানো যেত।সেটা হলে হইতো উত্পাদন খরচ কিছুটা কমতো।

জ্বালানির ব্যবহার হয়নি

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উত্পাদনে প্রধান বাধা প্রাথমিক জ্বালানি।অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বাংলাদেশে জ্বালানি দুর্ভিড়্গ চলছে।এই জ্বালানির চাহিদা মেটাতেই আজ হিমশিম খেতে হচ্ছে।আসলে আমাদের যে একেবারে নেই তা নয়।আমাদের আছে গ্যাস আর কয়লা।গ্যাসের নানা ব্যবহার আছে।তাছাড়া বাংলাদেশে আছে এতে ভর্তূকি।যার কারণে দাম কম।কিন্তু কয়লার উত্তম ব্যবহার বিদ্যুতে।বাংলাদেশে নতুন খনি থেকে কয়লা দ্রম্নত ব্যবহারের বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই।দ্বিমত পদ্ধতি নিয়ে।নতুন করে আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিদ্যুত উত্পাদনের চুক্তি করা হয়েছে।যার দাম স্থানীয় কয়লার চেয়ে বেশি পড়বে।এটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিষয় ছিল।

কিন্তু যেখানে সহজে এই উপাদান ছিল সেখানে আমরা যেতে পারিনি।বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা তুলে খুব ভালভাবে আরো তিনশ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ করা যেত।সে কার্যক্রম এখনো শুরম্ন করা যায়নি।যদিও সরকারের পরিকল্পনায় আছে।বিবিয়ানা গ্যাস ড়্গেত্রের গ্যাস দিয়ে পাঁচশ করে তিনটি বড় বড় বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন এখনই সম্ভব।উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এখনো তার কার্যক্রম শুরম্ন করা যায়নি।কবে নাগাদ হবে তা অনিশ্চিত।ভোলায় যে গ্যাস আছে তা দিয়ে তিনশ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সম্ভব।মাত্র চলতি মাসের প্রথম দিকে সেখানে একটি কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে।এই তিনটি নিশ্চিত জ্বালানি থাকা স্থানে যদি আমরা বিদ্যুত্ কেন্দ্র করতে পারতাম তবে আজ উত্পাদন খরচ যেমন অর্ধেক হতো তেমনই মান সম্মত বিদ্যুত্ পেতাম।ভাড়ার মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হতো না।কিন্তু আমরা তা পরিনি।ফলে দাম বাড়ছে।

বন্ধ হবে নতুন আসবে না

গেল বাজেটে দেয়া সরকারের পথ নকশা অনুযায়ি আগামী তিন বছরে ২৭টি বিদ্যুত্ কেন্দ্র বন্ধ হবে।কিন্তু এই সময়ে কোন স্থায়ী বড় বিদ্যুত্ কেন্দ্র উত্পাদনে আসার সম্ভবানা নেই।একটি কেন্দ্র স্থাপন করতে মাঠ পর্যায়েই কমপড়্গে তিন বছর সময় লাগে।এরআগের নিয়মকানুন তো আছেই।কাগজের নিয়ম শেষ কওে মাঠে গড়িয়েছে এমন কোন কার্যক্রম এই মুহুর্তে চোখে পড়ছে না।যদিও কিছু সংস্কারের মাধ্যমে উত্পাদন বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে তবে তার কাজও শুরম্ন হয়নি।এই পরিস্থিতিতে হইতো আবারও ভাড়ায় আবদ্ধ থাকতে হবে।আর তাতে আরো দাম বাড়বে বিদ্যুতের।

ভাড়ায় আনা কেন্দ্র

ভাড়ায় আনা কেন্দ্রর জন্যই আজ সকল সমস্যা।যদিও উত্পাদন যা বেড়েছে তা এখনে থেকেই।কিন্তু খরচ! অস্বাভাবিক খরচের কারণে এর খারাপ দিকগুলোই বেশি সামনে এসে হাজির হচ্ছে।দ্রম্নত বিদ্যুত্ সংকট মেটাতে এই ভাড়ার আশ্রয়।অবশ্য এর যাত্রা শুরম্ন আরো আগে।

মেয়াদ বাড়ানো শুরম্ন

ভাড়ায় আনা বিদ্যুত্ কেন্দ্রর কোন কোনটির মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে।কোনটি বাড়ানো হয়েছে।তারমানে ন্যায্য দামের বিদ্যুত্ দেয়ার সময় এক ধাপ পেছালো।কথা ছিল এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হবে না।ফলে নিদিষ্ট সময়ে মেয়াদ শেষে নায্য দামের বিদ্যুত্ পাওয়া যাবে।যুদ্ধকালিন বা আপদকালিন চাহিদা মেটাতে বাড়তি দাম দেয়া হচ্ছে।কিন্তু আপদকালিন সময় পিছু ছাড়েনি।ভবিষ্যতের বেধে দেয়া সময়ে যে দাম ঠিক পর্যায়ে আসবে তার নিশ্চয়তা কোথায়?

ভাড়ায় আনা যে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে তা কত বছরের জন্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করেও খরচ বাড়ছে।যে কেন্দ্র তিন বছরের জন্য তার খরচ বেশি।আর যে কেন্দ্রর চুক্তি বেশি দিনের তার খরচ কম।যেমন, সিদ্ধিরগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র আছে।যার একটি তিন বছরের অন্যটি পাঁচ বছরের চুক্তি।ফেব্রম্নয়ারি মাসে তিন বছরেরটিতে প্রতি ইউনিট দাম পড়েছে ২২ টাকা ৭৭ পয়সা এবং পাঁচ বছরেরটিতে প্রতি ইউনিট দাম পড়েছে ১৬ টাকা ৪৫ পয়সা।প্রতি ইউনিটে ১১ টাকা ৩২ পয়সা কম।

প্রথমেই তিন বছর না করে পাঁচ বছরের চুক্তি করলে খরচ অনেক কমে যেত।যে খরচ এখন দেয়া হচ্ছে।

উত্পাদন নেই তবু খরচ

বিদ্যুত্ উত্পাদন নেই তবু খরচ করতে হচ্ছেই।ভাড়ায় আনা অনেক বিদ্যুত্ কেন্দ্র আছে যেখান থেকে এক ইউনিটও বিদ্যুত্ উত্পাদন হয়নি কিন্তু ঐ মাসে তাদেরকে কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।কোন কোন কেন্দ্রে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম দেয়া হয়েছে ৪১৫ টাকা।বিদ্যুতের মূল দামের চেয়ে নির্ধারিত খরচ বেশি হচ্ছে।কেন্দ্রগুলো উত্পাদন ক্ষমতার পুরোটা করতে পারছে না বলে খরচ বাড়ছে।কম উত্পাদনের ফলে উত্পাদন খরচ বেশি হচ্ছে।

খুলনা ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে এপ্রিল মাসে এক ইউনিটও বিদ্যুত্ উত্পাদন হয়নি।তবু ঐ মাসে তাদেরকে শোধ করা হয়েছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৯০২ ডলার বা আট কোটি ৭৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫১ টাকা।এমন উদাহরণ আরো আছে।

ভাড়ায় আনা বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর স্থায়ী বা নির্ধারিত (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) খরচ মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে পিডিবি।জ্বালানি তেলের খরচ বেশি হচ্ছে বলা হলেও নির্ধারিত খরচের অর্থ যোগান দিতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে।ভাড়ায় আনা বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোর স্থায়ী খরচের তুলনায় জ্বালানি তেলের খরচ কম।১০ টি দ্রম্নত ভাড়ায় আনা কেন্দ্রর মার্চ মাসের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এরজন্য নির্ধারিত খরচ হয়েছে ১১২ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৯ টাকা।আর জ্বালানি খরচ হয়েছে চার কোটি ৭২ লাখ ১৯ হাজার ৫৫ দশমিক ৩৬ টাকা।অর্থাত্ শুধু যে জ্বালানি খরচের জন্য আমাদের বেশি টাকা দিতে তা নয়।

ভাড়ায় আনা বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোর চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রম্নয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের শোধ করা বিল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিদ্যুত্ উত্পাদনের উপরও নির্ভর করছে এর দাম।কম উত্পাদন করলে দাম বেশি দাম আর বেশি করলে কম দাম।নির্ধারিত খরচ আছেই এজন্য এই অবস্থা।যেমন, পাগলা ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্রে এপ্রিল মাসে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়েছে ৪১৫ টাকা ৪০ পয়সা।অথচ ফেব্রম্নয়ারি মাসে প্রতি ইউনিটের দাম পড়েছে ৫৮ টাকা ০৭ পয়সা।

জ্বালানি খরচ বাড়ছেই

বিদ্যুত্ উত্পাদনে জ্বালানি খরচ বাড়ছেই।গত ছয় বছরে এই খরচ বেড়েছে কয়েকগুন।পরিকল্পনা অনুযায়ি এই খরচ আগামী দুই বছরে বাড়বে আরো দুইগুন।বিদ্যুত্ উত্পাদনে জ্বালানি উত্স পরিবর্তন হওয়ায় এই বাড়তি খরচ।

ভাড়ায় আনা তেল ভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে এক বছরে জ্বালানি খরচ বেড়েছে ৮৯ শতাংশ।২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে খরচ হয়েছিল চার টাকা ২৬ পয়সা।কিন্তু ২০১০-১১ অর্থবছরে এসে এই খরচ বেড়ে হয়েছে আট টাকা পাঁচ পয়সা।

ব্যবহারিক লোকসান বেড়েছে

বিদ্যুতের ব্যবহারিক লোকসান বা সিস্টেম লস বেড়েছে।বিতরণ সংস্থাগুলো গড়ে ১৫ শতাংশ এই লোকসান হচ্ছে বলে বললেও পাওয়ার সেল বলছে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত্ম এই লোকসান হচ্ছে।বিদ্যুতের দাম বাড়ার এটাও একটা কারণ।এই লোকসানের খরচ শেষ পর্যন্ত্ম গ্রাহককেই দিতে হচ্ছে।

বিইআরসি কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন

গত কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।কিন্তু শুনানী হয়নি।অন্ত্মবর্তীকালিন দাম বাড়ানো হচ্ছে।অন্ত্মবর্তীকালিন দাম বাড়িয়ে বলা হচ্ছে পওে শুনানী করে দাম সমন্বয় করা হবে।কিন্তু সে শুনানী বা সমন্বয় না করে আবার অন্ত্মবর্তীকালিন দাম বাড়ানো হচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে বিইআরসির গ্রহণযোগ্যতা কোথায় গিয়ে দাড়াবে তা নিয়ে এখনই ভাবা দরকার।

আমরা দেখছি যে, দ্রম্নত প্রয়োজন মেটাতে গিয়েই শুধু নয়— সিদ্ধান্ত্মহীনতার কারণেও বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ বেশি হয়েছে।যা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল সরকার ও বিইআরসির।

দাম বেড়েছে সেবা নয়

বিদ্যুতের দাম বাড়ে কিন্তু সেবা বাড়েনা।বিইআরসি দাম বাড়ানোর রায়ে ঠিক করে দেয় কি কি করতে হবে।সেগুলো বাসত্মবায়ন হয় না।প্রায় দুই বছর আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে গিয়ে বিইআরসি ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ি সেবা বাড়ানোর অনেক নির্দেশনা দিয়েছিল।তার বেশিরভাগই বাসত্মবায়ন হয়নি।যেমন,

০ বিদ্যুত্ বিল শোধ করার অন্ত্মত ১৫ দিন আগেই বিল জারি করতে হবে

০ অগ্রগতি প্রতিবেদন কমিশনে দিতে হবে

০ ভোক্তাদের জন্য অভিযোগ বই খুলতে হবে এবং যথাসময়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে

০ পরিকল্পিত লোডশেডিং সম্পর্কে গ্রাহককে আগাম নোটিশ দিতে হবে

০ লোডশেডিং বিষয়ে নিজস্ব ওয়েবসাইটসহ দুটি বহুলপ্রচারিত জাতীয় বাংলা দৈনিক পত্রিকায় প্রচারের মাধ্যমে ভোক্তাকে জানাতে হবে

০ পুরাতন বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লো-ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান, সিস্টেম লস কাঙ্খিত মানে কমিয়ে আনাসহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে

০ সকলকে উপযুক্ত মিটারিং এর আওতায় আনতে হবে

০ ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট এর নীতি অনুসরণ করে বিদ্যুত্ বিতরণ দড়্গতা বাড়াতে হবে

০ ধীরে চল নীতিতে ক্রয় করে ভান্ডারে সংরড়্গণ করতে হবে

০ সেবার মান উন্নয়নের জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের যথাযথ প্রশিড়্গণের ব্যবস্থা করতে হবে

০ দুর্ভোগ কমাতে অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে

০ বিকল্প জ্বালানীর উত্স হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহারের মাধ্যমে চাহিদার উলেস্নখযোগ্য অংশ মেটানোর লড়্গ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে

এসব নির্দেশনার বেশিরভাগই বাসত্মবায়ন হয়নি।একটা দুটো ছাড়া।প্রত্যাশা ছিল বিইআরসি বিদ্যুত্ উত্পাদনের সামগ্রকি খরচ কমাতে, জ্বালানি খরচ কমাতে এবং বড় স্থানীয় কেন্দ্র স্থাপনে তাগাদা দেবে।কিন্তু সে প্রত্যাশা কমিশন পূরণ করতে পারেনি।যদি আপনি বিদ্যুেক অন্য আর পাঁচটা পণ্যের মত পণ্য ভাবেন তারপরও ভোক্তা অধিকার পূরণ হচ্ছে কি? উত্তর আশা করি কমিশনের বিজ্ঞজনরা দিবেন।

একটা সময় ছিল যখন কেউ কেউ মনে করতেন যে বিদ্যুত্ গ্যাস বিনামূল্যের জিনিস।কিন্তু এখন অনেকেই এটা মনে করেন না।তারা মূল্য দিয়েই নিতে চান।কিন্তু চোখের সামনে দেখে অব্যবস্থাপনার কারণে কেন বাড়তি মূল্য দেবেন? সেখানেই আপত্তি।মূল্য দিতে নয়।