বিদ্যুতে বদলে গেছে খাসিয়াদের জীবন
শাহীন চৌধুরী:
শ্রীমঙ্গলের পানপুঞ্জির আশিদ্রোনে থাকে প্রায় ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাসিয়া পরিবার। বিদ্যুৎ সংযোগসহ প্রধানমন্ত্রীর নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জীবন বদলেছে তাদের।
সম্প্রতি স্থানীয় রাজু খাসিয়া জানান, পান চাষই অন্যতম পেশা তাদের। পান চাষ করে সেখানকার প্রতিটি পরিবার মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা আয় করে। বিদ্যুৎ না থাকায় কুপির আলোতে চলতে হতো। পান চাষেও গুনতে হতো লোকসান। বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় পান চাষে প্রয়োজনীয় সেচ ব্যবস্থা ছিল না। এতে পান ব্যবসায় দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। কাঁদা মাটির রাস্তায় একাকার হয়ে থাকতো জীবন-যাপন।
২০১৮ সালে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসে এই অঞ্চল। এতে খাসিয়া সম্প্রদায়ের পান ব্যবসায় বিপ্লব ঘটে। বিদ্যুত সংযোগের কারণে পান চাষে সেচ ব্যবস্থায় নিশ্চিত হয়েছে।
ওই এলাকায় রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট ও বিদ্যুৎ সুবিধা উপহার দিয়ে তাদের জীবন আলোকিত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বছর আগে পানপুঞ্জির আশিদ্রোন এলাকায় দুটি ব্রিজ ও রাস্তা করে দেয়। ফলে পান ব্যবসায় আরও সুফল পান খাসিয়া সম্প্রদায়।
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২০-২৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বাস। এরমধ্যে শ্রীমঙ্গলে খাসিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ১১ হাজার জনের।
এখন আর কষ্ট করে পানখাঁচি মাথায় তুলে হেঁটে শ্রীমঙ্গল যেতে হয় না। আড়তদাররা আশিদ্রোন এসে পান কিনে নিয়ে যায়। উচিত মূল্যও পান চাষিরা। আগে বিদ্যুতের অভাবে সেচ বাধাগ্রস্ত হতো। বছরে বৃষ্টির দিনেই কেবল পান চাষে কিছু মুনাফা আশা করতেন কৃষকরা। বছরে ৬ মাস পান চাষ করতো। এখন বিদ্যুৎ সংযোগে সেচের সুবিধা থাকায় সারাবছরই পান চাষ করতে পারেন খাসিয়ারা।
এ অঞ্চলের খাসিয়ারা শেখ হাসিনার সরকারের অনুদান হিসাবে শেলাই মেশিন, বাইসাইকেল ও শিক্ষা অনুদানসহ বিভিন্ন প্রকারের সুবিধা পেয়ে আসছেন। ফলে তাদের জীবন বদলাতে শুরু করেছে।