বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদ্যমান পরিকল্পনা থেকে সরে আসুন: সিপিডি

বিদ্যুৎ উৎপাদনে চলমান পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান (পিএসএমপি) ২০১৬ থেকে সরকারকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

তারা বলছে, চলমান ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩৭ শতাংসে এসে দাঁড়িয়েছে যা মাত্রাতিরিক্ত।

সোমবার ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা বর্জন: সরকারি উদ্যোগ ও কতিপয় সুপারিশ’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডি পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এমন বক্তব্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসেব বলছে ২০৪১ সালে এ পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৭ শতাংশ। এমনকি এ সময়ে এটি ৫০ (শতাংশও) হতে পারে। পিএসএমপি অনুসারে তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট।’

সিপিডি পিএসএমপি-তে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য সরকারকে এই বিকল্প শক্তির উৎসের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলো এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগকারীদের তাদের প্রকল্পগুলোতে পুনবীকরণযোগ্য জ্বালানী হিসাবে রূপান্তর করার জন্য এখনই উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সিপিডি বলছে, বিদ্যামান পরিকল্পনা অনুসারে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৫ শতাংশ আসবে আমদানিকৃত এলএনজি (তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস), আরও ৩৫ শতাংশ আসবে আমদানিকৃত কয়লা থেকে, ১৫ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানী থেকে, ১০ শতাংশ আসবে পারমাণবিক শক্তি থেকে এবং ৫ শতাংশ আসবে জ্বালানী তেল থেকে।

ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রিজার্ভ মার্জিন হিসাবে সর্বাধিক ১৫ শতাংশ ওভারক্যাপাসিটি স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে রাখা হয়। বাংলাদেশ এটি ২৫ শতাংশ রাখছে।’

এটিকে ‘অবাস্তব’ আখ্যায়িত করে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এখন এটি সীমা অতিক্রম করেছে এবং এটি রাষ্ট্রের উপর একটি বিশাল ব্যয়ের বোঝা তৈরি করছে।’

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং সম্মানিত ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান।