বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ১৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক
নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানো এবং বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ১৭ দশমিক ৭ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। যা প্রতি ডলারে ৮০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
শুক্রবার সংস্থাটির ওয়াশিংটন সদর দফতরে ঋণটি অনুমোদন দেয়া হয়। অতিরিক্ত এ অর্থায়ন ঢাকার অদূরে সিদ্ধিরগঞ্জে ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে সহায়তা করবে।
কম্বাইন্ড সাইকেল প্রযুক্তিতে কম গ্যাস খরচ করে অধিক বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এতে করে একদিকে গ্যাসের সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে পরিবেশও রক্ষা পাবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট।
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্টিন রামা বলেন, এ অতিরিক্ত অর্থায়ন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে এবং গ্যাসেরও সাশ্রয় হবে।
২০০৮ সালে বিশ্বব্যাংক সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ৩০০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা ও গ্যাস সংকটের মুখে, সরকার আরও একটি ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক থেকে।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল), বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি (ইজিসিবি) এবং বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
বিশ্বব্যাংকের ক্রেডিট ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সহজ শর্তে ঋণ দেয় বাংলাদেশকে। এটি ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ এবং ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিয়ে ৩৮ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।