বিদ্যুৎ ও জ্বালানি থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত থেকে ভ্যাট তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বাজেট আলোচনা সভায় এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ড. তৌফিকুল আলম, বিআইডিএস’র আনোয়ারা বেগম, পিডব্লিউসি, বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মো. মামুনুর রশীদসহ এনবিআরের কর্মকর্তারা।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ সব সার্বজনীন বিষয়ে ভ্যাট তুলে দিতে হবে। কেননা, এটি সবার প্রয়োজন। আর এটি তুলে দিলে সবার ভালো হবে। দিন দিন সার্বজনীন ব্যবহারকৃত বিষয়গুলোর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে ভ্যাট হলো বিক্রয় কর, যা ভোক্তার ওপর আরোপ করা হয়। তাই ভ্যাট আদায়ে ব্যবসায়ীদের উৎসাহী করতে এবং ভ্যাট আদায়ে কর প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। তবে আমাদের দেশে ভ্যাট দেয়ার মতো কতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, তার কোনো হিসাব কারো কাছে নেই। নিবন্ধিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কতো ভ্যাট দিচ্ছে, তারও কোনো হিসাব নেই। কিন্তু আমাদের যদি হিসাব থাকতো, তাহলে আমরা জানতে পারতাম, বছরে কি পরিমাণ ভ্যাট আদায় হচ্ছে। আসল ভ্যাট ফাঁকিবাজদেরও আমরা ধরতে পারতাম এবং ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হতো। তাই ভ্যাট আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন করতে এবং তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
ড. তৌফিকুল আলম বলেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয় যেমন বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভ্যাট রাখা হবে কি-না, সেটি চিন্তা করতে হবে। এছাড়া কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হবে কি-না, সেটিও দেখতে হবে।
বিআইডিএস’র আনোয়ারা বেগম বলেন, কর আদায়ে এনবিআরকে আরও সতর্ক হতে হবে। দেশের অনেক স্থানে নারী কৃষক রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে কর আদায়ে সুবিধা দিতে হবে। এখনো কর দিতে বিভিন্ন স্থানে হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু এখন সময় এসেছে, সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার। তাই যত দ্রুত সম্ভব এনবিআরকে নতুন ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে।
নজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ও সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে এনবিআর কাজ করছে। আইএফসি’র খসড়াগুলোরও রিভিউ করা হচ্ছে। আইনগুলো বাংলায় করতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি, সকল সমস্যা দূর হবে। এছাড়া আমরা ডিজিটাল এনবিআর করছি। ভ্যাট অনলাইনসহ সব কিছু এখন অনলাইনে করছি। ফলে হয়রানি শব্দটি এখন মুছে যাবে। এনবিআরের কোথাও আর হয়রানি থাকবে না।