বিদ্যুৎ ও জ্বালানি’র বরাদ্দ ২৮,০৫১ কোটি টাকা

 

budget resources 2019-20

 

আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এই খাতে খরচ হয়েছে ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।

আজ বৃহষ্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে এই বাজেট পেশ করেন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আগামী বছরের মধ্যে দেশের সকল উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে।

বাজেটে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা, সৌর বিদ্যুৎ গুরুত্ব পেলেও দেশীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধানে আশানুরূপ নতুন বরাদ্দ নেই।

২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্যজ্বালানির খাত থেকে করার লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের ছাদসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ বাড়াতে প্রস্তাবনা রয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে।

প্রস্তাবিত বাজেটে চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী বছর বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কমানো হয়েছে জ্বালানি ও খনিজ খাতে। জ্বালানি খাতে চলতি বছরে বরাদ্দ আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়েও কম ছিল। তিন অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে বরাদ্দ ক্রমেই কমেছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য ২৬ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালের সংশোধিত বাজেটে ছিল ২৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ বছরে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এবারের বরাদ্দ ১ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের চলতি বছরের সংশোধিত বরাদ্দ ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে আগামী বছরের জন্য ১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ জ্বালানিতে ৩০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ কমছে।

বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়-২০৩০ সালের মধ্যে মোট সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৮ হাজার সার্কিট কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইনের পরিমাণ ৬ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সকল উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

জ্বালানি খাত প্রসঙ্গে বলা হয়- ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। একক জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ক্রমান্বয়ে জ্বালানি বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এলএনজি আমদানি হচ্ছে। ভারত থেকে ২০১৩ সাল হতে বিদ্যুৎ আমদানি চলছে। নেপালের সাথে দ্বিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্যের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়-সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বেসরকারি পর্যায়ে ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং গাইডলাইন করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদেও সৌর প্যানেল স্থাপনের উদ্যোগ আছে।