বিদ্যুৎ জ্বালানিতে গবেষনার সুযোগ চায় তরুনরা

তরুণ প্রকৌশলীরা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে সুযোগ চায়। যথাযথ সুযোগ সুবিধার অভাবে নতুন নতুন চিন্তা দানা বাধে না।আর এজন্য চাই গবেষণার ক্ষেত্র বাড়ানো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষনার ক্ষেত্র বাড়ানোর এই আহবান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ এনার্জি এনড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল (বিইপিআরসি) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) যৌথভাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে তরুন প্রকৌশলী ও তাদের উদ্ভাবনকে সম্পৃক্ত করা’ বিষয়ক এই আলোচনায় এই আহবান জানানো হয়।
আলোচনা সভায় শিক্ষর্থীরা বিদ্যুৎ জ্বালানি গবেষনাগার, প্রকৌশল শিক্ষর্থীদের সাথে শিল্প প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ বাড়ানো এবং গবেষণার জন্য অনুদান দেয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন, ইসাবের আরিফ রায়হান মাহি বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ইসাব যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের গবেষনায় সহায়তা দেবে। এজন্য একটি সমঝোতা চুক্তিও করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ ২৫ বছরের নিচে বয়স। এই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণদের উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে হবে। গত ৫ বছরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের সাফল্য অনেক। কিন্তু এটাই শেষ নয়। কেবল পথ চলার জন্য তৈরি হয়েছি। ভবিষ্যতে অনেক বড় বড় প্রকল্প আসছে। তখন দক্ষ জনবল লাগবে। এই তরুণ প্রজন্মকে এখন থেকে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলা গেলে উন্নয়ন সহজ হবে। এজন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ করানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে কাজে লাগিয়ে দেশের জ্বালানি ঘাটতি পুরণ করতে হবে। এজন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন। তরুণ প্রজন্মকে এই উদ্ভাবন করতে উৎসাহ দেয়া হবে।