বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

বিদ্যুৎ- জ্বালানিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা।

বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বাজেট উপস্থাপন করনে।
আসন্ন বাজেটে বিদ্যুতের জন্য থাকছে আট হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি। গতকয়েক বছরের মত এবারও জ্বালানি খাতে কোন ভর্তুকি রাখা হয়নি।
বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও জ্বালানি খাতে চলতি অর্থবছরের তুলনায় কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী অর্থবছর বিদ্যুৎ খাতে মোট ২৪ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত হিসেবে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জন্য আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত হিসেবে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উন্নয়ন ব্যয় হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটে ছিল ২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ২০৪১ সালের ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে ১২ হাজার ৮৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন ও ২ হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে ১৯ হাজার ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ২০৪১ সাল মেয়াদি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এখন যা সব মিলেয়ে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫১০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।