বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ আইনের সব চুক্তি হয়েছে বৈধভাবে: অধ্যাদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা (শুক্রবার, ৩০শে নভেম্বর ২০২৪):

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮শে নভেম্বর) আইনটি বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর অনুমোদন নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

আইনটি বাতিল করা হলেও এই আইনের আওতায় গত ১৪ বছরে যত চুক্তি হয়েছে তা বৈধ বলে বিবেচিত হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, আইনটি বাতিল করা হলেও এই আইনের আওতায় আগে যত চুক্তি হয়েছে তা সব বৈধভাবেই করা হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। চুক্তির অধীনে হওয়া প্রকল্প বা উন্নয়ন কাজগুলো এমনভাবে চলবে যেন এই চুক্তি বাতিল হয়নি।

অধ্যাদেশে এটাও বলা হয়েছে যে, সরকার জনস্বার্থে আইনেই আওতায় হওয়া চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করবে। এবং এ বিষয়ে যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে।

অধ্যাদেশ জারি করে আইনটি রহিত করা হলেও তিনটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, “আইন রহিতকরণ সত্ত্বেও-

(ক) উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিতকরণ পূর্বে উক্ত আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তি বা সম্পাদিত চুক্তির অধীন গৃহীত কোন ব্যবস্থা বৈধভাবে সম্পাদিত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(খ) উক্ত আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তির অধীন চলমান কোনো কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে অথবা নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই; এবং

(ক) ও (খ) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, জনস্বার্থে উক্ত আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করিবার অধিকার সংরক্ষণ করিবে এবং  উক্ত কার্যক্রমের বিষয়ে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে।”

দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যুদ্ধাবস্থা ঘোষণা করে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন করা হয়। এই আইনের আওতায় প্রতিযোগিতা ছাড়া অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। গ্যাস অনুসন্ধান সহ অন্যান্য কাজও দেয়া হয়েছে এই আইনে।

আইনের আওতায় এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতা থেকে রহিত করা হয়েছিল। দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।