বিদ্যুৎ জ্বালানির ভোক্তা, উদ্যোক্তাসহ সকলকে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পেট্রোলিয়াম খাতের ভোক্তা, উদ্যোক্তা, সরকারসহ সকল পক্ষকে ট্রাইব্যুনালে আইনি সহায়তা নিতে হবে।
রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ট্রাইব্যুনালের এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য মো. মোখলেসুর রহমান ও প্রকৌশলী ইমদাদুল হক ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন আইন বিষয়ে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিই্আরসির লাইসেন্সধারি সকলকে এই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের কোনো মামলা এখন আর নিয়মিত আদালতে হবে না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ট্রাইব্যুনালে হবে। উচ্চ আদালত থেকেও মামলা ট্রাইব্যুনালে ফেরত দেয়া হচ্ছে।
বিইআরসি আইন ২০০৩ এর অধীনে কমিশনের বিচারিক পর্ষদ হিসেবে কাজ করবে ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) অধীনে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সাত সদস্যের ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ড. সেলিম মাহমুদকে। এছাড়া দুইজন সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্য সদস্যদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আইনসচিবকে প্রধান করে গঠন করা সার্চ কমিটি চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও উচ্চ পর্যায়ের সার্চ কমিটি গঠন করে এভাবে নিয়োগ দেয়া হবে।
গত জুন মাসে নিয়োগ দেয়া হয়। আর এরআগে এপ্রিল মাসে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ট্রাইব্যুনালের সাত সদস্যের মধ্যে দুই জন থাকবেন আইন বিশেষজ্ঞ। এই দুইজনের মধ্যে একজন হবেন জেলা জজ। তিনজন থাকবেন বিদ্যুৎ গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। আর দুইজন থাকবেন প্রশাসন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এপর্যন্ত ৯৫টি মামলা ট্রাইব্যুনালে এসেছে। উচ্চ আদালত থেকে এসব মামলা ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে কোন গ্রাহক কিম্বা উদ্যোক্তারা সরাসরি এখনো কোন মামলা করেনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের সকল পর্যায়ের অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল দেখবে। বাংলাদেশের নিয়মিত কোন আদালতে যাওয়া লাগবে না। যাওয়া যাবেও না। অভিযোগ বা মামলা এখানেই করতে হবে।
আইন অনুযায়ি, ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত হবে। ট্রাইব্যুনালের রায় পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত রায় দেবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। কমিশনের রায়ের পরে আর কোন আদালতে যাওয়া যাবে না। তবে বাংলাদেশের সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ি রায়ের বিরুদ্ধে যে কেউ উচ্চ আদালতে রিট করতে পারবে। এখানেও সেই সুযোগ থাকবে।

আইন এ বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানির লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা হলে এই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করবে। ট্রাইব্যুনাল উভয়পক্ষের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে কমিশনের কাছে নিষ্পত্তির জন্য প্রস্তাব দেবে। সাক্ষীর জন্য সমন জারি করা, তাকে হাজির করা এবং সাক্ষীকে যাচাই বাছাই করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল।
বিদ্যুৎ গ্যাসের বকেয়া থাকা, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা কিম্বা এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের অন্য যে কোন বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা যাবে।
অভিযোগ করতে গেলে নিদিষ্ট পরিমান অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে হবে।