আগামী প্রজন্মের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৫ উদ্বোধন করে রাস্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে সকলের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দেয়া হবে। এজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থ জোগার করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মেও জন্য এখনই আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।
বৃহষ্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাস্ট্রপতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী বীর বিক্রম,  বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম এমপি, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম ও জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

power week minister 1
রাস্ট্রপতি তার বক্তৃতায় বলেন, দেশে আরও শিল্প ও আইটি পার্ক করতে হবে। এজন্য আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বর্তমান সরকার দ্বিগুনেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। সকল নাগরিকের কাছে বিদ্যুৎ পৌছানোর সাথে সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। ২০০৯ সাল থেকে এই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। গ্যাস উৎপাদনও দ্বিগুন হয়েছে। সরকার গ্যাস ও কয়লা অনুসন্ধান কাজ আরও এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, সম্পদ সীমিত। তবু উন্নয়ন থামিয়ে রাখা যাবে না। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দও ভবিষ্যৎ রেখে যেতে হবে। এজন্য সাশ্রয়ী হতে হবে। তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সেবা আরও বাড়াতে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, বিদ্যুতে অনেক উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিল। এজন্য এখন দেশে বিদ্যুৎ সংকট নেই। তখনও কথনও যে বিদ্যুৎ চলে যায় তা অন্য সমস্যার কারণে। এজন্য এবার বাজেটে ¯^াস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যদিকে বেশি নজর দিতে হবে। তবুও বিদ্যুতের প্রয়োজনে অর্থের অভাব হবে না। ২০১৯ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৭ হাজার মেগাওয়াটে যাবে। সে লক্ষেই কাজ করা হচ্ছে। ২০২৯ সালের মধ্যে ছয় হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হবে।
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করার দেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি অর্থ না নিয়ে নিজ¯^ অর্থে ভবিষ্যতে চলতে চাই। এখন বিদ্যুৎ আর সমস্যা না। আগামীর মূল চ্যালেঞ্জ অর্থ সংগ্রহ করা।
বিদ্যুৎ জ্বালানি সপ্তাহ উদ্বোধনীতে বলা হয়, দেশে এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ক্ষমতা আছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রও সংখ্যা একশটি। আগে ছিল মাত্র ২৭টি। ৭৩টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র এই সময়ে উৎপাদনে এসেছে। ৪৭ ভাগ মানুষ আগে বিদ্যুৎ পেত এখন ৭৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় আরও উন্নতি করা হচ্ছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে তখন ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
পুরস্কার
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে এবং বকেয়া আদায়ে বিশেষ অবদানের জন্য ডিপিডিসি কোম্পানি সচিব ও টাস্কফোর্স প্রধান মুনীর চৌধুরীকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বক্তৃতায় খুলনা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র মাহদি মুশফিক কামাল, সেরা রিপোর্টিং এ বাংলা নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি সেরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার ফয়েজ আহমদ তুষার, টেলিভিশন রিপোটিং এ চ্যানেল ২৪ এর ইকবাল আহমেদ ও যমুনা টেলিভিশনের মাহফুজুর রহমান মিশু পুরস্কার পেয়েছেন।