বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকছে না পিডিবি
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) আর বিদ্যুৎ বিতরণ করবে না। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করবে। পিডিবিকে করপোরেশন করে তার পরিধি
এভাবে কমিয়ে আনা হচ্ছে বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
পিডিবিকে করপোরেশন করতে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনের আলোকে পিডিবির পরিধি ছোট করা হবে।
সূত্র জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যেমন পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) করা হয়েছে। তেমনই অঞ্চলভিত্তিক আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি করা হবে। ওজোপাডিকো, ডিপিডিসি বা ডেসকোর মতো সেসব কোম্পানিও নির্দিষ্ট এলাকায় শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ করবে।
এ বিষয়ে কীভাবে কাজ করবে তা নির্দিষ্ট করতে প্রথমে পিডিবিকেই প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। পিডিবি একটি রোডম্যাপ তৈরি করে দেবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক হবে। সে বৈঠকেই পিডিবিকে করপোরেশন করার খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপনের কথা।
বর্তমানে পিডিবি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে বিদ্যুৎ কেনে এবং তা অন্য চারটি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাইকারি বিক্রি করে। পিডিবি নিজেও দেশের দক্ষিণাঞ্চল বাদে সারাদেশের জেলা সদরগুলোয় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
বিদ্যুৎসেবা আরও ভালো করা, লোকসান কমানো এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে পিডিবিকে করপোরেশন করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ১৯৯৬ সালে সরকার একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা অনুমোদন করে। এ নীতিমালার উদ্দেশ্য ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো।
সূত্র জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অফিস করেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ খাতের কিছু প্রশাসনিক সংস্কারের নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে একটি ছিল পিডিবিকে করপোরেশন করা।