সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে মনোযোগ দিতে হবে
বাংলাদেশ সফরকারী নোবেল বিজয়ী জোসে রোবের্ত মরিরা বলেছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সাশ্রয়ী ব্যবহারে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে ব্রাজিলের অভিজ্ঞতায় জলবায়ু পরিবর্তনে করণীয় শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে তিনি একথা বলেন।
প্রবন্ধে তিনি বলেন, ব্রাজিলে ২০টি ইএসসিওএস রয়েছে। এসব কোম্পানি জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। পরবর্তীকালে কিস্তিতে এই বিনিয়োগ তুলে নেয়। এতে পুরাতন অদক্ষ যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হয়েছে। তেমনি কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়েছে। এ থেকে ব্রাজিল অনেক সফলতা পেয়েছে। ভারতসহ অনেকে দেশেই এই পদ্ধতি চালু আছে। বাংলাদেশও ব্রাজিলিয়ান ইএসসিওএস (এনার্জি সাশ্রয়ী কোম্পানি) এর আদলে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি আছে যারা পুরাতন অদক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। তারা নিজেরাও জানেন না। সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা ছিল তা অর্জিন করা যায়নি। জনসংখ্যা ও জিডিপি বাড়ার কারণে কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে। উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার খুবই ব্যয়বহুল। তিনি বলেন, ব্রাজিল ২০০০ সালে জ্বালানি সাশ্রয়ী আইন করে। এতে বলা হয় প্রত্যেকটি কোম্পানিকে দশমিক ৭৫ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে এবং দশমিক ২৫ শতাংশ রাজস্ব জ্বালানি সাশ্রয়ী খাতে বাধ্যতামূলক খরচ করতে হবে। এ থেকে অনেক সুফল পেয়েছে ব্রাজিল। স্থায়ী উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশেরও এই দিকে যাওয়া প্রয়োজন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বড় চ্যলেঞ্জ উল্লেখ করে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তা প্রচলিত উৎপাদন পদ্ধতির থেকে অনেক ব্যয়বহুল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রাজিল বিদ্যুৎ খাতে কোন ভর্ভুকি দিচ্ছে না। বাংলাদেশকেও সেদিকে যাওয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। সরকার সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।