বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র বন্ধ ফের চালু
বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গতকাল রাতে হঠাৎ উৎপাদন বল্পব্দ করা হয়। দুই ঘন্টা পরে তা আবার চালু করা হয়। বিবিয়ানা বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত এক টা ৪৪ মিনিটে হঠাৎ সর্তক সংকেত বেজে উঠলে সংশিèষ্ঠরা উৎপাদন বল্পব্দ করে দেয়। পরে রাত ৪টায় আবার উৎপাদন শুরু করা হয়। সর্তক সংকেতটি ভুল ছিল বলে শেভরণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিবিয়ানা বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র। এখান থেকে দৈনিক গড়ে ৯৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগে এই ক্ষেত্র থেকে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হত। গত ২৯ নভেল্ফ^র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিয়ানা ক্ষেত্রর বর্ধিত অংশ উদ্বোধন করেন। এরআগে ২৮ অক্টোবর বিবিয়ানা থেকে বাড়তি গ্যাস তোলা শুরু হয়। আগে বিবিয়ানায় ১২টি কূপ ছিল। এখন ১৭টি কূপ থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে।
সিলেটের বিবিয়ানায় অবস্থিত বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গ্যাস তোলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরণ এই ক্ষেত্র উন্নয়নের কাজ করছে। শেভরণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গ্যাস যোগ হওয়ার পরে শুধু শেভরনের উত্তোলনের পরিমান হবে ১৪০ কোটি ঘনফুট। যা বাংলাদেশের মোট গ্যাস উত্তোলনের প্রায় ৪০ ভাগ। এছাড়াও এখান থেকে প্রতিদিন বাড়তি প্রায় পাঁচ হাজার ব্যারেল তরল গ্যাস (কনডেনসেট) উঠে। আগে প্রায় চার হাজার ব্যারেল কনডেনসেট তোলা হত। গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর পরে মোট প্রায় নয় হাজার ব্যারেল কনডেনসেট তোলা হয়।
শেভরণ জালালাবাদ, বিবিয়ানা ও মৌলভীবাজার ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোল করে। জালালাবাদ থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি এবং মৌলভীবাজার থেকে প্রায় সাত কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা হয়। রবিবার ২০টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে মোট ২৪৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা হয়েছে। এরমধ্যে শেভরণ থেকেই তোলা হয়েছে ১২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
এদিকে বিবিয়ানার গ্যাসক্ষেত্র বল্পব্দ হয়ে যাওয়ার ফলে গতকাল সকালে সাভার, গাজিপুর, জয়দেবপুর এলাকায় শিল্প কারখানায় গ্যাস সংকট দেখা দেয়।