বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তা যথেষ্ট নয়: নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তা যথেষ্ট নয়। তাই এখনই তেলের দাম কমানো হচ্ছে না। তবে তেলের বাজারের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তেলের বাজার বিশ্লেষণ করে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।
সোমবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে উপস্থাপন করা মূলপ্রবন্ধে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানিখাতে বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনেই প্রয়োজন হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায়ও ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ আছে।
‘বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ শীর্ষক কারিগরী পর্বের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ২০৩০ সাল নাগাদ ৪৯ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করে সেখানে নবায়ণযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্রীন টেকনোলজির ব্যবহার বাড়ানোকে লক্ষ্য ধরে বিদ্যুৎখাতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে। ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোকেও উৎসহিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আবাসিকে ৬০ লাখ সৌর ব্যবস্থার মাধ্যমে ২কোটি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। সৌরতে কৃষি, মিনি গ্রিড, বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ইত্যাদি মাধ্যম থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, হাইড্রোজেন ফুয়েল নিয়ে পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে। গ্যাস-তেল অনুসন্ধানে কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা আবশ্যক। কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসর’স এসোসিয়েশন (বিপপা)’র প্রেসিডেন্ট ইমরান করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইএফসি’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিল্প অবকাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের প্রধান ইসাবেল চ্যাটারটন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, সিঙ্গাপুরের সেম্বকর্পের নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা বিপুল তুলি, বাংলাদেশস্থ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি ইডিমন গিনটিং ও শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইরিক এম ওয়াকার বক্তব্য রাখেন।