বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। অয়েল প্রাইস ডটকমের তথ্য অনুযায়ী প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৮৮ দশমিক শূন্য ৩ ডলার। ডব্লিউটিআই ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল ৮১ ডলার। গত সাত মাসের মধ্যে এই হার সর্বনিম্ন।
খবর রয়টার্স ও সিএনএন।
এর আগে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৯১ দশমিক ২০। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের প্রতি ব্যারেল দাম ১ দশমিক ২০ ডলার কমে ৮৫ দশমিক ৬৮ মার্কিন ডলারে নেমেছে। ২৬ জানুয়ারির পর এটি সর্বনিম্ন।
অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) এবং তাদের মিত্ররা গত অক্টোবরে ঘোষণা দেয় প্রতিদিন এক লাখ ব্যারেল কম তেল উৎপাদনের। এরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়।
ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওএনডিএ’র জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ও ট্রেডিং অ্যাডভান্টেজের সাবেক চিফ কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্ট এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ওপেক প্লাসের উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকে ম্লান করা কঠিন ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশিত কিছু ডেটা পরিষেবা থাকার পরও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মোটেই ভালো দেখাচ্ছে না। এটি অপরিশোধিত তেলের দামের জন্য সমস্যা।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান সিএমসি মার্কেটের বিশ্লেষক টিনা টেং বলেন, একটি শক্তিশালী মার্কিন ডলার (সুদ), আক্রমণাত্মক বৃদ্ধি, বন্ড বেড়ে যাওয়া, এবং চীনের প্রবৃদ্ধিতে মন্দা তেলের দামের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মন্দাভাব শুরু হয় জ্বালানি তেলের বাজারে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত ছয় মাসে বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।