বিশ্বের চাহিদার ২২ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে মিটছে
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জানিয়েছে, গত বছর বায়ু, সৌর ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা এ যাবত্কালের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে এবং বর্তমানে বিশ্বের মোট বিদ্যুত্ চাহিদার ২২ শতাংশ এ খাত থেকেই উত্পাদন হচ্ছে। অন্যদিকে সোলার প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এ বছর রেকর্ড পরিমাণ প্যানেল বিক্রির আশা করছে। খবর গার্ডিয়ান ও ব্লুমবার্গ।
২০১৩ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভর্তুকি ব্যয় কমাতে রাজনীতিবিদরা হয়তো এ খাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে আইইএর নির্বাহী পরিচালক মারিয়া ভ্যান ডার হোভেন বলেন, ‘সরকারগুলোর উচিত একটু ধৈর্য ধরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু এ খাতে এরই মধ্যে যখন ব্যয় সাশ্রয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখনই গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোয় নীতিগত ও আইনি অনিশ্চয়তা আরো বেড়ে যাচ্ছে।’
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাজারের ওপর নিজেদের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে আইইএ জানায়, ‘২০২০ সাল নাগাদ জলবিদ্যুত্সহ অন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিগুলো মোট চাহিদার ২৬ শতাংশ পর্যন্ত উত্পাদন করবে।’ কিন্তু ২০১১ সালের সর্বোচ্চ ২৮০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় চলতি বছর এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কম থাকবে। সরকারগুলোর পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে নীতিগত কোনো পরিবর্তন না এলে আগামী দশকজুড়ে গড় বার্ষিক ২৩০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বজায় থাকবে।
গত বছরের তুলনায় ৫২ শতাংশ বিক্রয় প্রবৃদ্ধি আশা করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হানওয়া সোলারওয়ান। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি ১ দশমিক ৬ গিগাওয়াটের প্যানেল বিক্রির পরিকল্পনা করছে। ব্লুমবার্গের পক্ষ থেকে সংকলন করা তথ্যে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্যানেল স্থাপনের হার এ বছর রেকর্ড ৫২ গিগাওয়াটে পৌঁছতে পারে, যা গত বছর ছিল ৪০ দশমিক ৩ গিগাওয়াট। চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীর্ষ বাজারগুলোয় এ খাতে মোট প্রবৃদ্ধির অর্ধেক সম্পন্ন হবে।