বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত

World’s First FNPP Sets Sail To Supply Electricity

বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভ। এই কেন্দ্র থেকে রাশিয়ার চুকোতকা অঞ্চলের পেভেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রধান নির্বাহী আলেক্সি লিখাচভ বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং একই সঙ্গে চুকোতকা অঞ্চলের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। একাডেমিক লামানোসভ পেভেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো এবং এটি এতদ্বঞ্চলের জনগণ ও বাণিজ্যের জন্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানির নিশ্চয়তা দেবে।
একাডেমিক লামানোসভে দু’টি কেএলটি-৪০সি মডেলের পারমাণবিক রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে; প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট।
ভাসমান পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্রটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যবহার করা হবে। পরিবেশবাদীদের সংগঠন গ্রিনপিস প্রকল্পটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে আসছে। তবে জাহাজটি উঁচু ঢেউ ও সুনামি মোকাবেলায় সক্ষম এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত বলে দাবি করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ভাসমান পারমাণবিক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়া গত এক দশক ধরে কাজ করছে।
যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে মুরমান্সকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপারেটর কোম্পানি রসএনার্গোএটম (রসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) কে রাশান বুক অফ রেকর্ডসের পক্ষ থেকে বলা হয়, একাডেমিক লামানোসভ বিশ্বের সর্ব উত্তর অঞ্চলে প্রথম পারমাণবিক স্থাপনা। উল্লেখ্য, বর্তমানে পেভেক অঞ্চলে যে দু’টি জীবাশ্ম জ্বালানী ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে একাডেমিক লামানোসভ।

বর্তমানে, ছোট বিদ্যুৎ রিয়্যাক্টর শিল্পে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শাখা হচ্ছে ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অত্যন্ত দূরবর্তী অঞ্চল এবং দ্বীপ গুলোতে গ্রীন এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এগুলো অত্যন্ত উপযোগী। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ রসাটমের এ জাতীয় বিদ্যুৎ প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করছে। রসাটম বর্তমানে দ্বিতীয় প্রজন্মের অপটিমাইজড ফ্লোটিং পাওয়ার ইউনিট নিয়ে কাজ করছে, যে গুলো রপ্তানির জন্য ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন করা হবে।