বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও পুনরুদ্ধারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুড়িগঙ্গা নদীসহ ঢাকা মহানগরীর চারপাশের প্রবহমান নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা মহানগরীর চারদিকে বৃত্তাকার নদীপথ ও সড়কপথ চালু করার বিষয়ে এক বৈঠক প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এছাড়া মন্ত্রী পরিষদ সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, সেনাবাহিনী প্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও পুনরুদ্ধারে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় দ্রুত সার্কুলার নৌরুট চালু করবে। নৌরুটটি যাবে আশুলিয়া, আমিনবাজার, সদরঘাট, ফতুল্লা, কাঁচপুর, টঙ্গী পর্যন্ত।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ইস্টার্ন বাইপাসসহ চারলেনের সার্কুলার সড়ক নির্মাণ করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সমন্বয় করবে, বলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী।
তিনি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ঢাকার পরিবেশের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। এ প্রকল্প আমাদেরই করা, আমাদেরই বাস্তবায়ন করতে হবে। সার্কুলার রোড ও নৌরুট হলে পণ্য পরিবহন ও জনপরিবহন সহজতর হবে।