বৃহস্পতিবার থেকে ভেজাল দেয়া পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে অভিযান
জ্বালানি তেল এখন খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। ভেজাল তেলে বাজার ভরে উঠেছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, সিলেট ও চট্টগ্রামে এ হার বেশি। অবৈধভাবে তেল বিক্রেতা এবং ভেজাল দেয়া পাম্পের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে অভিযান চালানো হবে।
বুধবার জ্বালানি বিভাগে পেট্রোল পাম্প ও জ্বালানি তেল বিক্রির বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভেজাল তেল বিক্রির অপরাধে ৯টি পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা করা হয়েছে। পাম্পগুলো হচ্ছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানির অধীনে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে অবস্থিত সাহানা ফুয়েল, বগুড়ায় অবস্থিত জিবিকা ফুয়েল সেন্টাল, ত্রিশা এন্টারপ্রাইজ, এম. আর. ট্রেডার্স, মেঘনা অয়েল কোম্পানির অধীনে সরদার ফিলিং স্টেশন, হক ফিলিং স্টেশন, যমুনা অয়েল কোম্পানির অধীন গাইবান্ধায় অবস্থিত বাধন ফিলিং স্টেশন, লক্ষিপুরে মতিন ট্রেডার্স ও নওগাঁর নিউ খন্দকার স্টোর। এছাড়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা অনুমোদন ছাড়াই তেল বিক্রি করছে। এই অপরাধে লাইসেন্স বাতিল না করে কেন শুধু জরিমানা করা হয়েছে সে বিষয়ে বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।
বৈঠকে জ্বালানি তেলের সুষ্ঠু সরকার নিশ্চিত করতে গঠিত কমিটি কিছু সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে, মেরিন বা বার্জ ডিলার নিয়োগে বিপিসির নীতিমালা অনুসরণ করা, ডিলারদের বিপণন কোম্পানি থেকে তেল উত্তোলনের হিসেব রাখা, তেল তোলার আগে কি পরিমান তেল ট্যাংকে মজুদ ছিল তার হিসেব রাখা, বার্জের ফ্লো মিটার বিএসটিআই এর মাধ্যমে চেক করা ইত্যাদি। এছাড়া বৈঠকে কনডেনসেটের দাম পুন: নির্ধারন করা, এল পেটার্ন নির্ধারণ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকশেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যদি ভেজাল করে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে তা শুরু হবে। আমাদের কাছে রিপোর্ট চলে আসছে। ১২শ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে কোন কোন পাম্প ভেজাল করছে, আমরা ধীরে ধীরে তাদের লাইসেন্স বাতিলের দিকে যাব। এখন আর জরিমানা না, সরাসরি লাইসেন্স বাতিলের দিকে যাব।