বেক্সিমকো ২০০ মেগাও্য়াট সৌর বিদ্যুৎ করছে

যৌথভাবে গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। ভবিষ্যতে অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
এবিষয়ে আজ বিদ্যুৎভবনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে দুটো চুক্তি করেছে।
সৌর বিদ্যুৎ সরাসরি গ্রিডে দেয়া হবে। ১৮ মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ১৫ সেন্ট। তবে যে বিদ্যুৎ গ্রিডে যাবে শুধু তারই দাম পাবে। পিডিবি পুরো বিদ্যুৎ কিনে নেবে।
বেক্মিমকোর সাথে চীনের বেসরকারি কোম্পানি টিবিইএ জিনজিয়াং সানওয়েসিস যৌথভাবে এই কেন্দ্রে বিনিয়োগ করবে। এতে বেক্সিমকোর অংশ থাকবে ৮০ভাগ। বাকীটা টিবিইএ এর। এই দৃু কোম্পানি মিলে তিস্তা সোলার লিমিটেড নামে কোম্পানি গঠন করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা বাস্তবায়ন করবে।
তিস্তার সাথে পিডিবি’র বিদ্যুৎ ক্রয় এবং বাস্তবায়ন চুক্তি হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে একটা সূর্য গ্রাম করার পরিকল্পনা করা হবে। সেই গ্রামে সব জ্বালানি হবে নবায়নযোগ্য। খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হবে। আর আগামী একবছরে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিযে যোগ হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, টিবিইএন এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা এন্থনি উপস্থিত ছিলেন।

সালমা এফ রহমান বলেন, নিদিষ্ট সময়ের আগেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আশা করি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক চুক্তিও শেষ করা হবে।  গাইবান্ধায় এক হাজার একর জমি নেয়া হয়েছে। সেখানে এই কেন্দ্র হবে। তিনি ভবিষ্যতে বিদ্যুৎখাতে বেক্সিমকো আরও বিনিয়োগ করবে বলে জানান।

বিদ্যুৎ সচিব বলেন, নতুন তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গেল বছর প্রত্যাশিত ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি। তবে দ্রুত সময়ে এই সমস্যা মিটে যাবে।

বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে পিডিবি’র পক্ষে পিডিবি সচিব মিনা মাসুদুজ্জামান ও তিস্তা সোলার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সই করেন। অন্যদিকে বাস্তবায়ন চুক্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্ম সচিব শেখ ফয়জুল আমীন ও পিজিসিবি সচিব মো. আশরাফ হোসেইন ও তিস্তার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সই করেন।