বেপোরোয়া খনি কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চীনের খনিজ বাজার

বেপরোয়া খনি কার্যক্রম, কালোবাজার এবং চোরাচালানের কারণে রাহুর গ্রাসে পতিত হয়েছে চীনের দুর্লভ খনিজের বাজারটি। এতে এ শিল্পে খনিজ দ্রব্যগুলোর বাজারদর ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ার বাওতুতে অনুষ্ঠিত দুর্লভ খনিজের ফোরামে বক্তারা এ তথ্য জানান। খবর সিনহুয়া।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি এবং সামরিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই দুর্লভ ধাতুগুলোর চাহিদা বিশ্বব্যাপী খুবই বেশি। মোট উত্পাদনের ৭০ শতাংশ অবদান সত্ত্বেও সেরিয়াম, ল্যান্থানাম ও ইত্তেরবিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ধাতুগুলোর দাম গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমার্ধের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। ২০১৩ সালে চীনের দুর্লভ খনিজের রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু একই সময়ে এসব খনিজের রফতানি মূল্যমান কমে যায় ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

বক্তারা জানান, দাম কমে যাওয়ার প্রবণতাটি এ বছরেও অব্যাহত রয়েছে। এসব খনিজের গড় দাম এখন ২০১০ সালের স্তরে নেমে এসেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাপান বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে অভিযোগ করেছিল, চীন দুর্লভ খনিজ রফতানিতে কোটা আরোপ করে এ খাতের বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আপিলে চীনের পরাজয়ের কারণে দেশটি এখন ওই রফতানি কোটা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে।

চীনের রেয়ার আর্থ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান গান ইয়ং বলেন, কার্যকর ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা ছাড়া এ শিল্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। খনি এলাকায় স্বল্প মাত্রায় কার্যক্রম এবং মূল্যের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে গত কয়েক বছরে খনিজ ধাতুর অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ঘনীভূত হয়েছে।

শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জিয়া ইনসং উল্লেখ করেন, অবৈধ খনি কার্যক্রমে উচ্চ মুনাফা আসায় স্থানীয় সরকারের সঙ্গে খনি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত সংঘাত বাধছে। খনি শিল্পে বিশৃঙ্খলা কমিয়ে সুব্যবস্থাপনা জোরদার করতে বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।