বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি উন্মুক্ত করার সুপারিশ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তোলার সুপারিশ করা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) এর নিয়োগ দেয়া অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি এই সুপারিশ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার কনসালটেন্সি ফার্ম, জন টি বয়েড, পেট্রোবাংলা অডিটোরিয়ামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও জ্বালানি বিভাগের সচিবের উপস্থিতিতে এই সুপারিশ উপস্থাপন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানের ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তুললে মাত্র চারভাগ কয়লা তোলা যাবে। আর উন্মুক্ত পদ্ধতিতে করলে ৭৫ থেকে ৯০ ভাগ কয়লা তোলা যাবে।
পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। পরে প্রতিবেদন জ্বালানি বিভাগে পাঠাবো।
অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খনির দক্ষিণে তিন বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছয় কোটি ২০ লাখ টন কয়লা মজুদ আছে। আর উত্তর অংশে দেড় বর্গকিলোমিটার এলাকায় নয় কোটি ২০ লাখ টন কয়লা মজুদ আছে। ভূগর্ভস্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুললে দক্ষিণভাগ থেকে ৪০ লাখ টন এবং উত্তর অংশ থেকে এক কোটি টন কয়লা তোলা যাবে।
মাটি থেকে ২০০ মিটার বা ৬৫৭ ফুট গভীরতায় কয়লা মজুদ আছে। ১০ বছর :ধরে কয়লা তোলা যাবে। বর্তমানে, খনির কেন্দ্রীয় অংশ থেকে কয়লা উত্তোলন করছে। ২০০৫ সাল থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি টন মজুদ থেকে এক কোটি টন কয়লা তোলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, আমি কনে করি না যে সরকার এখন উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলবে। এরআগে ফুলবাড়িতে আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সরকার উন্মুক্ত পদ্ধতি করবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছিল।