বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মবিরতি
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা রোববার দুপুর ১টা ১০ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে খনিতে কর্মরত ১ হাজার ৪১ জন শ্রমিক অংশ নেন। এতে ভূগর্ভের ১ হাজার ২০০ ফুট নিচে ওই সময় কর্মরত খনির ৩৫০ জন শ্রমিক কর্মবিরতিতে যোগ দেয়ায় কয়লা উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
দাবি মেনে নেওয়া না হলে ভূগর্ভের শ্রমিকেরা ওপরে উঠে আসবেন না বলে জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম। খনির উপরিভাগের প্রায় ৮০০ শ্রমিক আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।
কয়েকজন শ্রমিক ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করে। শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১ হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে চাকরি করছেন। দীর্ঘ সময়ে কয়লার উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এতে খনি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও বোনাস বহুগুণ বাড়লেও শ্রমিকদের বেতন-ভাতার উল্লেখযোগ্য কোনো বৃদ্ধি ঘটেনি।