ভবিষ্যৎ চিন্তায় বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় ওজোপাডিকো

ভবিষ্যতে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়বে। তখন খরচ বাড়বে। এই চিন্তা থেকে এখনই বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় ওজোপাডিকো।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে এমনই যুক্তি তুলে ধরেছে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারি এই কোম্পানি।
কাওরান বাজারে বিইআরসি’র গণশুনানিতে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, পিডিবি পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। যদি পাইকারি দাম বাড়ে তবে লোকসান হবে। এজন্য দাম বাড়াতে হবে।
শুনানীতে গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। প্রস্তাব অনুযায়ী ইউনিট প্রতি দাম দাঁড়ায় দশমিক ৬৬ টাকা।
বর্তমানে খুলনা, ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে কোম্পানিটি।
শুনানিতে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ডিজিএম (বাণিজ্যিক) রবীন্দ্রনাথ দত্ত।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এরইমধ্যে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানিতে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। পাইকারি দাম বাড়লে সমন্বয় করে দাম বাড়ানোর আবেদন করছি।
রবীন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রির কারণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এতে করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিএসএল বাবদ সরকারকে ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সম্ভব হয়নি। জমা দেওয়া হয়েছে মাত্র ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, আবদুল আজিজ খান ও মাহমুদউল হক ভুইয়া উপস্থিত ছিলেন।
তবে, ক্যাব বলছে, সেবার মান না বাড়িয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। সেই সাথে, দুর্নীতি ও নিম্নমানের সেবার অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।