বিদ্যুৎ জ্বালানি সপ্তাহ ভাঙলো মিলন মেলা
শেষ হলো বিদ্যুৎ জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৬। শেষ হলো বিদ্যুৎ জ্বালানি মেলা। ভাঙলো মিলন মেলা। শেষ দিনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় ছিল উপচে পড়া ভীড়। আবার এক বছর পর মিলিত হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে ফিরেছে সকলে।
চার দিনের মেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঘুরে ঘুরে জেনেছে বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ে তথ্য। অভিভাবকরা তার সন্তানকে নিয়ে এসেছেন দেখাতে কীভাবে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ। কীভাবে মাটি খুঁড়ে, মাটির গভীর থেকে তুলে আনা হচ্ছে কয়লা। সিন্ধু সেচে মুক্ত আনার মত কীভাবে সাগর থেকে আনা হচ্ছে গ্যাস। আর কীভাবেই বা জ্বলছে ঘরের আলো, চলছে কারখানার চাকা।
বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ক প্রায় প্রতিটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য অথবা সেবা বা কার্যক্রম তুলে ধরেছে দর্শনার্থীদের কাছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র দেখে শিশু থেকে বয়স্করাও মজা পেয়েছেন।
মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন তাদের নিজস্ব তথ্য জানিয়েছেন তেমনই তথ্য জেনে খুশি দর্শকরাও। অনেক প্রতিষ্ঠান টুকটাক উপহার দিয়েছে, সেদিকে আগ্রহ ছিল অনেকের।
মেলায় যারা এসেছেন তাদের কাছে জানতে চাইলে এক একজন এক এক রকম মন্তব্য করেন।
ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (ইজিসিবি) প্রকৌশলী আহমেদ শাফি এনার্জি বাংলাকে বললেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ে মানুষের জানা দরকার। বেশি বেশি জানলে সাশ্রয়ী বেশি হবে। অনেক ভাল ছিল এবারের মেলা। দর্শকের সংখ্যাও ছিল বেশি। এই স্থানে মেলা প্রথম হলেও দর্শক ছিল অনেক বেশি।
চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ব্যুরো এর মার্কেটিং ম্যানেজার সৈয়দ মোকাদ্দেস আলী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার মেলায় মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশি। জানার আগ্রহও ছিল বেশি। গভীর সমুদ্র থেকে পাইপে করে ডিপো পর্যন্ত তেল আনতে পাইপলাইন স্থাপনে সম্প্রতি চুক্তি হয়েছে।এই কাজ চায়না পেট্রোলিয়াম করছে। কীভাবে এই পাইপ হবে তা জানতে চেয়েছে অনেকে।
জোহরা ফেরদৌস বলেন, মেলায় এসে ভাল লাগলো ডিপিডিসির স্মার্ট মিটার দেখে। তবে সমস্যা এই মিটার পেতে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। গতবছর ডিপিসিসি মেলায় সাথে সাথে সংযোগের চাহিদাপত্র দিলেও এবার তা করেনি। শুধু আবেদন জমা নিয়েছে। মানে যে দু-দশজন ভোগান্তি কম পোহাতো তারাও সুবিধাটা পেল না।
আবদুল্লাহ আল শাফি বলেন, রামপালের স্টল দেখার আগ্রহ ছিল। দেখলাম। তবে দেখার পরও রামপাল নিয়ে স্পস্ট কোন মন্তব্য করলেন না তিনি। তবে বললেন, মেলায় যে সাধারণ মানুষের কাছে এমন ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে এটা ভাল উদ্যোগ। আবদুল্লাাহ শাফি বললেন, মেলা ঘুরে ভাল লেগেছে। অনেক বিদেশি কোম্পানির স্টল ছিল। তাদের বিষয়ে জানা গেছে। মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আহ্ধসঢ়;বান জানিয়ছেন। তার আহ্ববানে সাড়া দিয়ে সকলের উচিত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সচেতন হওয়া।