ভারতীয ঋণের প্রায় অর্ধেকই খরচ হবে রূপপুরসহ বিদ্যুৎখাতে
ভারতের দেয়া ঋণের বড় অংশ রূপপুরের পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর সঞ্চালন লাইনসহ বিদ্যুৎখাতে খরচ করা হবে। মোট ঋণের প্রায় অর্ধেক খরচ হবে বিদ্যুৎ খাতে।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর সঞ্চালনসহ অন্য অবকাঠামোতে ভারত বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। নতুন যে ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি হয়েছে তার মধ্যেই এই ঋণ যাবে রূপপুর বিদ্যুতে।
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে যে খরচ হবে তার ৯০ ভাগ অর্থাৎ প্রাং ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে রাশিয়া।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে বুধবার এই চুক্তি হয়।
ইআরডি জানায়, ঋণের অর্থে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন তৈরি করা হবে। মোল্লাহাটে করা হবে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। এছাড়াও ঋণের টাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে এক লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ করা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকুইনহা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং ঢাকায় সফররত ভারতের অর্থ ও কর্পোরেট মন্ত্রী অরুণ জেটলি উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের দেয়া অর্থে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, রেলপথ ও সড়ক নির্মাণ, জাহাজের ডক ও বন্দর উন্নয়নসহ ১৭টা কাজে খরচ করা হবে।
ঋণের টাকায় অন্য যেসব খাতে খরচ করা হবে তাহলো, পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ; বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ; বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ; সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ; বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেন করা, চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল; ঈশ্বরদীতে কনটেইনার ডিপো; মোংলা বন্দর উন্নয়ন; চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ; মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেন করা, মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন; কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ কাজে খরচ করা হবে।
এটা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ঋণ। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে রাশিয়ার সাথে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ।