ভারতের খোলাবাজার থেকে সঞ্চালনের ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে
ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের সঞ্চালনের অংশ টুকু কিনে নিতে হবে। আর তা কিনতে হবে ভারতের বেসরকারি বিদ্যুতের খোলা বাজার থেকে। প্রস্তাবটি বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন করা হয়েছে।
ভারত থেকে সরকারিভাবে যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয় তাতে ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট সঞ্চালনে চলে যায়। ফলে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা থাকলেও গড়ে ৪৫০ থেকে ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়। এই ঘাটতি মেটাতেই ভারতের বেসরকারি বাজার থেকে ঘাটতি টুকু কিনতে হচ্ছে।
৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে গড়ে একবছরে এক কোটি ৩০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ দুই কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
ভারতের দুটি কোম্পানির মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এনভিভিএন এবং পিটিসি। ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনে তারা বাংলাদেশে দেবে।
এরআগে ভারতের খোলাবাজার থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ভারতের সরকারি সংস্থা এনভিভিএনকে এক বছরের জন্য নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। চলতি বছরে ১৫ই জানুয়ারি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই বিষয়টি অনুমোদনও করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুৎ বিষয়ক যৌথ স্টেয়ারিং কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, ভারতের বিদ্যুৎ কেনার আইন অনুযায়ি এ নিয়মে বিদ্যুৎ কেনা যাবে না। এই আইন অনুযায়ি ভারতের কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের মধ্যেই বিদ্যুৎ কেনা-বেচা যাবে। ভারতের বাইরে নয়। ভারতের বাইরে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হলে রেগুলেটরি কমিশনের আইন সংশোধন করতে হবে। যা সময় সাপেক্ষ। এ কারণে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নতুন ভারতীয় বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ কেনার পরামর্শ দেয়া হয়।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের বহরমপুর থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছিল।
এছাড়া ক্রয় কমিটি সিরাজগঞ্জে বেসরকারি খাতে ২২ বছর মেয়াদী ৪শ মেগাওয়াট (আইপিপি ) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
গ্যাস দিয়ে উৎপাদন করা হলে এখানে প্রতি ইউনিটের (কিলো ওয়াট/ঘণ্টা ) দাম হবে ৩ দশমিক ১৮৮ টাকা। তেল দিয়ে উৎপাদনে ব্যয় হবে ১৬ দশমিক ৫৬৯ টাকা। সিঙ্গাপুরের সেমকর্প কোম্পানির সঙ্গে দেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে এ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।