ভারতের ত্রিপুরা থেকে ডিসেম্বরে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে

ভারতের ত্রিপুরা থেকে ডিসেম্বর  মাসেই ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে। এজন্য কুমিল্লা থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মান করা হচ্ছে। কুমিল্লা ও ত্রিপুরা অংশে মোট ৫৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন করা হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে ২৮ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ২৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ অংশের ৪০০ কেভি ক্ষমতার আন্ত:দেশীয় এই ২৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন করবে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি)। এজন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং এ- কন¯দ্ব্রাকশনের সাথে রোববার চুক্তি করেছে পিজিসিবি। পিজিসিবি কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
ভারতের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এই ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ‘ত্রিপুরা (ভারত) – কুমিল্লা দক্ষিণ (বাংলাদেশ) গ্রীড ইন্টারকানেকশন প্রজেক্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই সঞ্চালন লাইন করা হচ্ছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক (ওএ-এম) তপন কুমার রায়, নির্বাহী পরিচালক (এইচআর) মোহাম্মদ শফিকউল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোহাম্মদ সেলিমসহ পিজিসিবি এবং জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানী সচিব মো. আশরাফ হোসেন এবং জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জং-দায়ে লিম চুক্তিপত্রে সই করেন।
এই ২৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন করতে খরচ ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বিজিসিবি ও সরকারি অর্থে এই বিনিয়োগ হচ্ছে।
একই প্রকল্পের আওতায় গত ৮ মার্চ কুমিল্লা (দক্ষিণ) সাবস্টেশন থেকে কুমিল্লা (উত্তর) সাবস্টেশন পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার ১৩২ কেভি দ্বৈতসার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল পিজিসিবি।
কুমিল্লা থেকে ত্রিপুরার পালাটানা কেন্দ্র পর্যন্ত আন্ত:দেশীয় সঞ্চালন লাইনের ভারত অংশের নির্মাণকাজ করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। একই সময়ে ওদিকে সঞ্চালন লাইন শেষ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।