ভারতের বিদ্যুৎ ও তেলের মূল্য রুপিতে পরিশোধের উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের কাছ থেকে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ আমদানির বিল ডলারের পরিবর্তে রুপিতে শোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত উভয়েই এতে নীতিগত সম্মত আছে বলে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকে এবিষয়ক আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হবে।
১১ই জুলাই থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু। এতদিন ডলারে করতে হতো। আপাতত রুপিতে লেনদেন হলেও ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমে এলে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায়ও লেনদেন হবে ।
প্রাথমিকভাবে দুই দেশের চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনেদেন হবে। বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক উভয় দেশের মধ্যে রুপিতে ঋণপত্র খুলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছর। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও একই রকম ছিল।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রুপিতে লেনদেন শুরু হলে ডলার সাশ্রয় হবে। প্রতি ডলারের বিনিময় খরচে অন্তত ১ টাকা সাশ্রয় হবে।
রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের তুলনায় আমদানি বিল পরিশোধ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের রিজার্ভ কমেছে। বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপির দর নির্ধারণে মার্কিন ডলারের বিনিময় হারকে রেফারেন্স হিসেবে নেওয়া হবে। রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের কোনো ধরনের এক্সচেঞ্জ লস বা ফি দিতে হবে না।
ভারতের সাথে বাণিজ্যের বড় অংশই বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের। দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। পাইপলাইনে করে জ্বালানি তেলও আসছে। পর্যায়ক্রমে উত্তরাঞ্চলের তেলের চাহিদার প্রায় পুরোটা ভারত থেকে আমদানি করা হবে। এই লেনদেন রুপিতে করলে ডলারের চাপ কিছুটা কমবে।
মে থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের নুমালিগড় থেকে ৫৮ হাজার টন ডিজেল আমদানি করা হবে। এজন্য প্রায় তিন হাজার ৪০০ মিলিয়ন রুপি লাগবে। একই সময়ে আইওসিএল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টন ডিজেল ও জেট ফুয়েল কেনা হবে। এর মূল্য প্রায় ১২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি।