ভারত থেকে আরো দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হবে: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত থেকে আরো দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। জ্বালানি সংকট মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান তিনি।
আজ রোববার সিলেটের এক হোটেলে ‘টেকসই জ্বালানী প্রসারে গ্রিন ব্যাংকিং’ এর ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিআইবিএম‘র মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী  সভাপতিত্ব করেন। স্রেডার চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এস কে সুর চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার, বাংলাদেশে জার্মান দুতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মাইকেল শুলখেই,  জিআইজেড রিনিউয়েবল এনার্জি এন্ড এনার্জি এফিশিয়েন্সি (রিপ) কর্মসূচির কোঅর্ডিনেটর আল মুদাব্বির বিন আনাম বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রয়োজন নিয়মিত অর্থযোগান। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যয়বহুল বিধায় প্রাথমিকভাবে স্বল্প সুদে বা বিনা সুদে অর্থায়ন প্রয়োজন। পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে পারলে এসডিজি অর্জন সহজ হবে।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির জন্য পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন বা গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম আরো বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া দরকার। বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন সহায়ক অবকাঠামো তৈরি শুধু টেকসই জ্বালানি উন্নয়নের জন্যই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে পরিবেশ উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অর্থনীতির  দিকে দেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।

জার্মান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড) টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এ উদ্যোগের  মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংক এবং আর্থিক সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।