ভারত থেকে আসছে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
ভারতের ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। নতুন করে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া নতুন সাতটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
ত্রিপুরার সূর্য মণিনগর বিদ্যুৎ স্টেশন থেকে বিশালগড় মহকুমার কৈয়াঢেপা সীমান্তে হয়ে নির্মিত পরিবাহী লাইন দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ মেগাওয়াট আসছে বাংলাদেশের দক্ষিণ কুমিল্লায়। একই পদ্ধতিতে এই ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে নতুন এ বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের ট্যারিফ ধরা হয়েছে ৫.৫৪ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬.৩১ টাকা।
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র সাতটির সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ৭৮৭ মেগাওয়াট।বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ফার্নেস তেলে পরিচালিত হবে।নির্মাণের পর ১৫ বছর পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুত কিনবে সরকার।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রংপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে ১১৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এখান থেকে সরকার প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ২০ পয়সা দরে বিদ্যুত কিনবে। ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে ৮টা ২১ পয়সা দরে। ১১৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার বগুড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ নিবে ৮ টাকা ২৪ পয়সায়। চাঁদপুরের ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ নিবে ৭ টাকা ৯২ পয়সায়।, ১০৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার নারায়নগঞ্জ থেকে ৮টাকা ৯২ পয়সা ও ১১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ফেনি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ নিবে ৮ টাকা ৪০ পয়সা দরে। সবগুলোই হচ্ছে আইপিপি বা স্বতন্ত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এর আগে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে পাঠায়নি বিদ্যুৎ বিভাগ।