ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ভারতের নুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানির জন্য একটি সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় একটি স্থানীয় হোটেলে নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) সঙ্গে এমওইউটি স্বাক্ষর হয়েছে বলে বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা জানান।
সমঝোতা স্মারকের পর উভয় দেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি গঠনের জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করবে। এর পর নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) সঙ্গে পারচেজ অ্যান্ড সেলস এগ্রিমেন্ট হবে। ১৮ এপ্রিল নুমালিগড় রিফাইনারির চার প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসেন।
জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ভারতের আসামের গোলাঘাট এলাকায় ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) অবস্থিত। জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে প্রতিষ্ঠানটি ভারতের শিলিগুড়ি দিয়ে একটি পাইপলাইন নিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শিলিগুড়িতে অবস্থিত পাইপলাইন থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর দিয়ে পার্বতীপুর জ্বালানি তেল ডিপো পর্যন্ত নতুন পাইপলাইন নির্মাণ করে তেল আমদানি করা হবে। শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত মোট দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে ১৩০ কিলোমিটার। সংশ্লিষ্টরা বলেন, ভারত থেকে ডিজেল আমদানি করা গেলে অন্যান্য দেশের তুলনায় খরচ কম হবে। পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে সেচ মৌসুমে ডিজেল পরিবহনের ঝামেলাও অনেক কমে আসবে।
বিপিসি চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, এমওইউ স্বাক্ষরের ভিত্তিতে শিগগিরই চুক্তি করা হবে। নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসে। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এমওইউ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়। তিনি জানান, যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বছরে ১০ লাখ টন ডিজেল পরিবহন হবে। এজন্য ৫০০ কোটি ভারতীয় রুপি বিনিয়োগ করে ১৩৫ কিলোমিটার স্থাপন করা হবে। চুক্তির পর প্রকল্প শেষ করতে ১ বছর সময় লাগবে।