ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তের কাছে সোমবার ভোরে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৭।
আতঙ্কিত মানুষ হুড়োহুড়ি করে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে গেলে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ভোরের এই ভূমিকম্পটি ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জোরালোভাবে অনুভূত হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
বাংলাদেশের টেলিভিশনের সাংবাদিকরা জানান, এই ঘটনায় অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। এদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় ৪টা ৩৫ মিনিটে (গ্রিনিচ মান সময় রোববার ২৩০৫) ভারতের ইম্ফাল নগরী থেকে ২৯ কিলোমিটার (১৮মাইল) পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ভারতের মনিপুর রাজ্যের ইম্ফালের বাসিন্দা ইয়ুরেইপেম আর্থার টেলিফোনে জানান, ‘ভূমিকম্পের সময় শেলফ থেকে বই পড়ে যাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম যে বাড়িটি ধসে পড়বে।’
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগরী গৌহাটিতেও একই অবস্থা বিরাজ করছিল। ভূমিকম্পে সেখানকার কোন কোন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় ভারতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে এএফপি’র গৌহাটি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে ঘুম থেকে উঠে লোকজন ‘হতভম্ব হয়ে পড়েন।’
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এখানকার ভবনগুলোও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিন দেব বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।’
ভারতে ১৯৫০ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি গ্রাম ধ্বংস হয়। প্রলয়ঙ্করী ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতে। ওই ভূমিকম্পে ভারতের আসাম রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৭.৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্প, ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন, ভূমিধস ও বন্যায় ১ হাজার ৫শ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারায়।