ভিডিও কনফারেন্সে প্রথম সভা করল বিদ্যুৎ বিভাগ
প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয় সভা।
আজ রোববার বিদ্যুৎ ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সভায় বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদসহ বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভা করতে পারলে সময় বাঁচবে। এসময় তিনি জুন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি বিভাগকে ই ফাইলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বলেন, শুধু তথ্য প্রযুক্তি বিভাগেরই নয়, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া প্রয়োজন।
ভিডিও কনফারেন্সের অপর প্রান্ত থেকে আরইবি‘র চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে এক কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৭০লাখ গ্রাহক এসএমএস পায়। আগামী মাসের মধ্যে ৭০ভাগ আরইবি‘র গ্রাহক এসএমএস পাবে। ডিপিডিসি‘র ১০লাখ ৭২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে সাত লক্ষ ২৫ হাজার গ্রাহক, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখ ৭২ হাজার, ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নয় লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের মধে প্রায় দুই লাখ, ডেসকোর আট লাখ ১৪ হাজার গ্রাহকের মধ্যে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক এসএমএস পায়। নেসকোর ১২ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহকে মধ্যে কেউ এসএমএস পাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক সন্তষ্টির জন্য কাজ করছি। সেবা নিয়ে গ্রাহকদের কাছে যান, সমস্যা থাকলে তাদের জানান। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, দূর্নীতি কমবে। যা সরকারের অন্যতম লক্ষ। নতুন সংযোগে অহেতুক হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, রাজউকের নির্দেশনা অনুসারে আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ দিন। এ সময় তিনি গ্রাহক সন্তষ্টি নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনার জন্য পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনকে নির্দেশ দেন।
সমন্বয় সভায় বার্ষিক কর্মক্ষমতা চুক্তি, ই-ফাইলিং, এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহক সেবা, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, পদ্ধতিগত লোকসান (সিষ্টেম লস), বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়, আন্তঃসংস্থা দেনা-পাওনা, ওভারলোড ট্রান্সফরমার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, বিদ্যুৎ সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে জনমত যাচাই, নিরীক্ষা আপত্তি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, চট্টগ্রামে প্রি-পেমেন্ট মিটার দেয়ায় পাঁচ শতাংশ পদ্ধতিগত লোকসান কমেছে। প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রতিটি বিতরণ সংস্থাকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।