ভেলকে চুক্তি করতে চিঠি, অর্থনৈতিক চুক্তি তিনমাসের মধ্যে

রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ভারতের কোম্পানি ভেলকে কাজ দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে তিন বোর্ড। প্রতিযোগিতায় নিম্ন দরদাতা হওয়ায় প্রথমে এই অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ড-সিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল)। একই সাথে বিআইএফপিসিএল এর মালিক বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার লিমিটেড (এনটিপিসি) তাদের নিজস্ব বোর্ড সভায় ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক কোম্পানি লিমিটেড (ভেল) কে কাজ দেয়ার প্রস্তাব অনুমতি দিয়েছে।
বিআইএফপিসিএল সহৃত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, তিন বোর্ডের অনুমোদন পাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি ভেলকে চিঠি দিয়ে চুক্তি করতে বলা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ি, চিঠি পাওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভেলকে বিআইএফপিসিএল এর সাথে চুক্তি করতে হবে। সে অনুযায়ি চলতি মাসের মধ্যেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠিকাদার কোম্পানি হিসেবে ভেল এর সাথে চুক্তির তিন মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক চুক্তি হবে। ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সাথে অথনৈতিক চুক্তি হবে। অথনৈতিক চুক্তির ৪১ মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ৪৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আনতে হবে।
সূত্র জানায়, ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে তিনটি কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে ভেলকে কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিআইএফপিসিএল এর উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই চুক্তি হবে। তবে নির্ধারিত তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ করতে হবে অর্থনৈতিক চুক্তির ৪১ মাসের মধ্যে। দ্বিতীয় ইউনিট শেষ হবে ৪৬ মাসে। এই হিসেবে কেন্দ্র স্থাপন শেষ হবে ২০১৯ সালের শেষে। রামপাল কেন্দ্রের ৭০ শতাংশ অর্থ ঋণ নেয়া হবে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক এই ঋণ দেবে। বাকি ৩০ শতাংশ পিডিবি ও এনটিপিসি যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে। সম্ভাবতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কেন্দ্র স্থাপনে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ২০১ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর ১৫ শতাংশ হিসাবে ৩০ কোটি ২১ লাখ ৮৪ হাজার ডলার দিতে হবে পিডিবিকে।
এদিকে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা পরিবেশ সম্মত হবে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে ইউনেসকো থেকে প্রতিনিধি দল আসষে বাংলাদেশে। সুন্দরবনের পাশে কয়লা ভিত্তিক এই কেন্দ্র স্থাপন করতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে কী না তা তারা পর্যালোচনা করবে। ইউনেসকো প্রতিনিধি দলকে অবহিত করার জন্য বিদ্যুৎ, পরিবেশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয় আন্ত: মন্ত্রণালয় বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আগামী ১০ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনে জনযাত্রা করবে।