ভোলার নতুন ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন
ভোলার শাহবাজপুরের নতুন ক্ষেত্র থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস তোলা হয়েছে। আজ বুধবার ‘শাহবাজপুর পূর্ব-১’ নামের এই অনুসন্ধান কূপ থেকে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদ ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস থাকার সম্ভাবনা আছে।
গত ২৩ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে নতুন ৭০০ বিসিএফ গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার ঘোষণা দেয় বাপেক্স।
শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে তিন কিলোমিটার পুর্ব দিকে মাটির সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীরে এই গ্যাস ক্ষেত্রর আবিস্কার করে বাপেক্স। এই অনুসন্ধান কূপটি বাপেক্সের অধীনে খনন করেছে রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাসপ্রম। তবে জরিপ থেকে শুরু করে সব ধরণের পরিচালনার দায়িত্ব ছিল বাপেক্সের।
নওশাদ ইসলাম জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে ‘ড্রিল স্টেম টেস্ট’ এর মাধ্যমে নতুন ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। সকালে উত্তোলন শুরুর সময় প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে গ্যাসের চাপ (পিএসআই) ছিল প্রায় পাঁচশ পাউন্ড। সকালে উৎপাদন শুরুর পর প্রথমে এক কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস প্রবাহ পেলেও পরে তা তিন কোটি ঘনফুট হারে উঠছে।
তিনি জানান, বাপেক্স ত্রিমাত্রিক জরিপ করে প্রথমে এখানে গ্যাস থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপরই সেখানে কূপ খনন শুরু করা হয়। সাড়ে ৩ হাজার মিটার খনন করা হয়েছে। মটিরে নিচে তিন হাজার ৩০০ মিটার থেকে তিন হাজার ৫০০ মিটারের মধ্যে তিনটি স্তরে এই গ্যাস পাওয়া গেছে।
নওশাদ জানান, এই কূপের গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য।
এর আগে ২০১৬ সালে ত্রিমাত্রিক জরিপ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের অবস্থান চিহ্নিত করে।
বিদ্যমান শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার ভূগর্ভে গ্যাস থাকার সম্ভাবনার কথা জানানো হয় তখন।