তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র
ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত এখন ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল। দুই থেকে আড়াই ফুট তুষারের চাদরে ওয়াশিংটন চাপা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ।
নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রুকলিন ও কুইন্স আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার ও শনিবার ৬৩০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, যার অধিকাংশই নিউ ইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়ার বিমানবন্দরের। শুধু শুক্রবারই বিলম্বিত হয়েছে ৭ হাজার ফ্লাইট। এই তুষারঝড়ের মাত্রা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। নিউ ইয়র্কের সব বাসিন্দাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘরের বাইরে বের না হয়।
আবহাওয়ার চ্যানেলগুলো জানায়, অন্তত ২০টি রাজ্যের সাড়ে আট কোটি মানুষ এখন তুষারঝড়ের কবলে রয়েছে। টেনেসি এবং নর্থ ক্যারোলাইনাকে ক্ষতবিক্ষত করে ভয়াবহ তুষারঝড় ভার্জিনিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলে পড়ে শুক্রবার দুপুরে। টেনেসি এবং নর্থ ক্যারোলিনায় শুক্রবার সকাল থেকে তুষারঝড়ে আটজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তুষারপাতের কারণে গাড়ি দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর প্যাট ম্যাককরি। বরফে পিছলে গিয়ে টেনেসির পূর্বাঞ্চলে আরেক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এক নারী। বরফে আটকে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এই দুই রাজ্যে।
তুষারঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। দুই লাখ মানুষ বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে বলে রাজ্যগুলোর প্রশাসন জানিয়েছে। ৬০ থেকে ৬৫ মাইল বেগে তুষারঝড়ের আশঙ্কায় মেরিল্যান্ড, নর্থ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া ও পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি, ফিলাডেলফিয়া এবং নিউ ইয়র্ক অঞ্চলে বিশেষ সতর্কাবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র ম্যুরিয়েল ই বাউসার বলেছেন, জনজীবনের জন্যে মারাত্মক হুমকিস্বরূপ এ তুষারঝড়ের কারণে রাজধানীর সব রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার ভোর পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।