মাটি মেশানো কয়লায় জালিয়াতি ধরতে তদন্ত কমিটি

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য আমদানি করা কয়লার চালানে বিপুল পরিমাণ কাদামাটি পাওয়া গেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো স্পর্শকাতর কাজে মাটিমিশ্রিত কয়লা কেন সরবরাহ করল তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সানাউল হককে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (উন্নয়ন-৫) মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী এবং বিপিডিবির উপপরিচালক (বেসরকারি প্রকল্প) মো. নাজমুল হক। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

৬৩ হাজার টন কয়লার চালানটি ফিরিয়ে দিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি (সিপিজিসিবিএল)।

সিপিজিসিবিএল সূত্রে জানা গেছে, ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে গত ১৭ মার্চ ‘এমভি ওরিয়েন্ট অর্কিড’ নামের সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি জাহাজ মাতারবাড়ী বন্দরের চ্যানেলে প্রবেশ করে। ২১ মার্চ জাহাজ থেকে কয়লাগুলো খালাস করেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা। খালাস করার সময় দেখা যায়, কয়লায় প্রচুর পরিমাণে মাটির মিশ্রণ রয়েছে। অথচ চুক্তি ছিল, ইন্দোনেশিয়া থেকে উচ্চমানের কয়লা সরবরাহ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়লা খালাসকালে বারবার আনলোডিং কনভেয়ার বেল্টে আটকে যাচ্ছিল। তখন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জাহাজ থেকে কয়লা খালাস বন্ধ করে দিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সরবরাহকারী মাটিমিশ্রিত নিম্নমানের কয়লা দেওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

এই কয়লা সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইউনিক সিমেন্ট।