মাতারবাড়ি হবে বাংলাদেশের ‘বিদ্যুৎহাব’

মাতারবাড়ি হবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎহাব। আর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে সেখানে গড়ে তোলা হবে আধুনিক উন্নত শহর।
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে। জাপানের সাথে এনিয়ে গত ২৭শে জুলাই চুক্তি করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।
বৃহস্পতিবার ঢাকার এক হোটেলে চুক্তিত্তোর অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা একথা বলেন।
জাপানের সুমিতোমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএইচআই করপোরেশন যৌথভাবে এই কেন্দ্র করবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উত্তম স্থান। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্সে। যেখানেই সন্ত্রাসবাদের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জাপানসহ অন্যদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, মাতারবাড়ি হবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎহাব। বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে ভবিষ্যতে এই দ্বীপে যাতে সিঙ্গাপুরে চেয়ে উন্নত অবকাঠামো রূপ পায় সেজন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলাম,  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওতানাবে উপস্থিত ছিলেন।

মাতারবাড়ি ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের ১৪১৪ একর জমিতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে শেষ হবে।

মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ‘আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’ ব্যবহার করা হবে। যাতে কেন্দ্রের কর্মদক্ষতা হবে ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর গড় কর্মদক্ষতা ৩৪ শতাংশের বেশি নয়।