মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি
ইবি ডেস্ক:
কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে জাপানের অর্থায়নে নির্মিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার দাবিতে
আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান শুরু করেছে পরিবেশবাদীরা। খবর রয়টার্স।
তারা বলেছেন, এরফলে কার্বন নির্গমন বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ত্বরান্বিত করবে এবং বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ঝুঁকিতে ফেলবে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিদেশে ক্ষতিকর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য গত বছরের মে মাসে জাপানসহ জি৭ দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারপরও জাপানি প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশন, তোশিবা ও আইএইচআই করপোরেশন এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে।
‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার জাপান’ নামে ছাত্র আন্দোলনের কর্মী কেনতারো ইয়ামামোতো শুক্রবার একটি অনলাইন ইভেন্টে বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশ এবং এই গ্রহের মানুষের ক্ষতি করছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে এবং বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে অনেক মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।
মাইটি আর্থ নামে একটি অ্যাডভোকেসি সংস্থার জাপানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রজার স্মিথ বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণে নেট-শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অর্থ শেষ মিনিট পর্যন্ত কয়লা পোড়ানো নয়।
এবিষয়ে সুমিতোমোর একজন মুখপাত্র দাবি করেন, প্রকল্পটি চলতি শতাব্দীর মাঝামাঝি বন্ধ করা হবে। ফলে এটি তাদের অঙ্গীকারের বরখেলাপ নয়।
বাংলাদেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, মাতারবাড়ী প্রকল্প বন্ধ করার জন্য সরকার জলবায়ুকর্মীদের কাছ থেকে কোনো আবেদন পায়নি। এটি একটি চলমান প্রকল্প এবং এটি বাতিল করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রায় ৮ শতাংশ আসে কয়লা থেকে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জীবাশ্ম-জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নেতিবাচক পরিণতি কমাতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত বছর সরকার ১৮টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের মধ্যে ১০টি বাতিল করেছে।