মামলায় অতীতের গাফলতি খতিয়ে দেখা হবে: প্রতিমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক আদালতে নাইকোর করা মামলার শুনানী শেষ হয়েছে। অতীতে এ মামলা নিয়ে তথ্য উপস্থাপনে বাংলাদেশের কোন গাফিলতি ছিল কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
ইকসিডে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে সোমবার দেশে ফিরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে চাই। যাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো এই মামলার রায় দেখে মনে না করেন বাংলাদেশে যা খুশি তাই করা যায়। নাইকো মামলার শুনানিতে বাংলদেশের গাফিলতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেন মামলাটিতে বাংলাদেশের অবস্থান এতদিন দুর্বল ছিল তা খুঁজে বের করতে চাই। ইকসিডের একটি প্রতিনিধি দল ছাতক গ্যাস ক্ষেত্রের ক্ষতি দেখতে বাংলাদেশে আসতে পারে বলে তিনি জানান।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, ইকসিডে ২ থেকে ৭ নভেম্বর প্রতিদিন সকাল নটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলার শুনানি হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই শুনানীর সময় প্রতিমন্ত্রীসহ সংশিষ্ঠরা লন্ডনে ছিলেন।
জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ মামলাটি কানাডীয় কোম্পানি নাইকো রিসোর্স করেছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের বিরুদ্ধে।
নাইকো আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ২০১০ সালের ১২ই এপ্রিল এবং ১৬ই জুন দুটি মামলা করে। একটি গ্যাসের বকেয়া বিল আদায় সংক্রান্ত (আরবি/১০/১৮) অন্যটি টেংরাটিলা বিষ্পোরণের ক্ষতিপূরণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে (আরবি/১০/১১)।
আগে মামলার আইনজীবি প্রয়োজনীয় তথ্য বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেননি বলে অভিযোগ আছে।