মিটারে তথ্য গড়মিল করে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ: দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

প্রিপেইড মিটারের তথ্য গড়মিল করে অর্থআত্মসাৎ করা হয়েছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) বনশ্রী শাখায় এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকের শতাধিক হিসাবে তথ্য গড়মিল করা হয়েছে। আর এই কাজের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা।

ঘটনায় জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় বনশ্রী শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা এবং লাইনম্যান মীর কামাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
ডিপিডিসির তদন্ত কমিটির প্রধান ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলী (সেন্ট্রাল) সারোয়ারে কায়নাতে মো. নূর বলেন, তদন্ত করছি। আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারব। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত দেখেছি শতাধিক গ্রাহকের হিসাবে গড়মিল আছে।
ডিপিডিসির আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসানের নেতৃত্বে এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
সূত্র জানায়, ডিপিডিসির বনশ্রী শাখায় গ্রাহকের মিটারের এবং সার্ভারের তথ্যে অমিল পাওয়া যায়। এতে সন্দেহ হলে তথ্য পরীক্ষা করা হয়। তখন এবিষয় নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে তথ্য গড়মিল করে ১০ লাখ ইউনিটের বেশি বিদ্যুতের হিসাব গড়মিল করা হয়েছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, এ ধরনের চুরি শুধু এক পক্ষে হয় না। এখানে গ্রাহকও জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত করা হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, লাইনম্যান হলেও কামাল হোসেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের দায়িত্ব পালন করতেন। অভিযুক্ত কামাল হোসেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজে যোগ দেয়ার জন্য এর আগে পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
নিয়ম অনুযায়ী সার্ভারের পাসওয়ার্ড থাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে। বিল সংশোধনসহ অন্যান্য কাজে সার্ভার খুলতে পাসওয়ার্ড দরকার হয়। পাসওয়ার্ড হস্তান্তরযোগ্য না হলেও সোহেল রানা কামালকে সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন।

দিনের পর দিন উপসহকারী প্রকৌশলীর চোখ এড়িয়ে এককভাবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পক্ষে বিল কমানো বাড়ানো যায় না বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।