মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে অঙ্গীকার করল শতাধিক দেশ

ইবি ডেস্ক:
বিশ্বেও শতাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিশ্রুতির আলোকে এ দশকের শেষ নাগাদ ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
খবর বিবিসি ও এএফপি’র।
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) বিশ্ব নেতারা এই প্রতিশ্রুতি দেন।
শিল্প বিপ্লবের পর মিথেন গ্যাস নির্গমনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বৈশ্বিক মিথেন নির্গমন অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উষ্ণতা কমাতে এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক উষ্ণতা সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ধরে রাখতে অধিক কার্যকর পন্থাগুলোর অন্যতম হচ্ছে মিথেন গ্যাস নির্গমন কমানো।
বর্তমান বিশ্বে যে তাপমাত্রা বাড়ছে তার এক তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী মিথেন গ্যাস। যেটা কয়লা, তেল ও গ্যাসনির্ভর শিল্প থেকে নিঃসরিত হয়। ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি উষ্ণায়ণ বাড়ায় মিথেন গ্যাস।
এই গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর জন্য গ্লাসগোতে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে প্রস্তাব তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিন। তাদের এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় বিশ্বের শতাধিক দেশ। যারা সবচেয়ে বেশি কার্বন ও মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে থাকে।
এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ ২০২০ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ এর এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বৈশ্বিক মিথেন অঙ্গীকার’।
মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রস্তাব এনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মিথেন গ্যাস নিঃসরণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে আমরা সবাই অঙ্গীকারাবদ্ধ হলাম। আমি মনে করি, ২০৩০ সাল নাগাদ আরও বেশি কিছু করতে পারবো। এতে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, কোম্পানিগুলোর অর্থ সঞ্চয় করতে পারবো। এই উদ্যোগে সেই দেশগুলোই সামিল হয়েছে, যারা বিশ্বে প্রায় অর্ধেক মিথেন নিঃসরণের জন্য দায়ী।
ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিন বলেন, আসলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ কমাতে আমরা ২০৫০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি না। সেটার জন্য এখন থেকেই মিথেন নিঃসরণ দ্রুত কমাতে হবে। কারণ, স্বল্প সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ কমানোর জন্য কার্যকর উপায় হচ্ছে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানো।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উর্সুলা ভন ডের লেয়ান বলেন, ২০২০ সালের তৃতীয় ধাপ অর্জনের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য অতি ক্ষতিকর গ্রীনহাউস গ্যাস হ্রাস ‘দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের লাগাম টেনে ধরবে’।