মুন্সীগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভুমি অধিগ্রহণ প্রকল্প অনুমোদন
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া ও সদর উপজেলায় ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের আগে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এই প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ৯৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৫টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৭৪ কোটি ৩১ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে।
রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্লান অনুযায়ী কয়লাকে প্রধান জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে জ্বালানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই আলোকে ‘মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানী অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড ২৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভারি যন্ত্রপাতি ও পরিচালনে প্রয়োজনীয় কয়লা পরিবহনে সুবিধাজনক হবে। ৩০০ একর ভূমিতে বয়লার, টারবাইন, চিমনী, পানি শোধনাগার এবং বার্জ হতে কয়লা মজুদ ব্যবস্থাপনার জন্য জেটি স্থাপনসহ অধিক দক্ষতার ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিট্রিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে।