মেঘনাঘাটের গ্যাস যাবে তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে
আগুনে পূড়ে যাওয়া মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে গ্যাস ব্যবহার হতো তা দিয়ে তিনটি বিদ্যুেকন্দ্র চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তিনটি হলো-হরিপুরে অবস্থিত ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিদ্ধিরগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট এবং ঘোড়াশাল ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।আজ শুক্রবার থেকেই এই তিন কেন্দ্র চালু করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎবিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎজ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জ্বালানি সচিব মোজাম্মেল হক খানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টিম টারবাইনে আগুন লাগে।এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়।এ ঘটনার পর থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎউত্পাদন বন্ধ আছে।সহসা কেন্দ্রটির উত্পাদনে আসা অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় গতকাল বিদ্যুৎবিভাগের পক্ষ থেকে এ কেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাস কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়।বৈঠকে জানানো হয়, গ্যাসভিত্তিক মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করা হতো।এ গ্যাস দিয়ে হরিপুরের ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালানো যাবে।বর্তমানে গ্যাসের অভাবে কেন্দ্রটি থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎউত্পাদন হচ্ছে।অন্যদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটিতেও গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎউত্পাদন কম হচ্ছিল।গতকাল পর্যন্ত এ কেন্দ্র থেকে ৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎউত্পাদন হয়েছে।এ কেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎউত্পাদন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।এছাড়া রিজেন্ট পাওয়ারের ঘোড়াশাল ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাকী গ্যাস সরবরাহ করা হবে।