মেলায় আসলেই ডেসকোর বিদ্যুৎ সংযোগ
মেলায় আসলেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির
(ডেসকো)। এখন আর নতুন সংযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বিদ্যুৎ ও
জ্বালানি মেলায় এলেই সংযোগ পাবে। টাকা জমা দিয়ে যে কেউ তার নতুন
সংযোগের জন্য চাহিদাপত্র পেতে পারবে। তাই উপচে পড়া ভীড় ডেসকোর স্টলে।
বৃহষ্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাতে আয়োজিত মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে
এই তথ্য পাওয়া গেছে। বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে শনিবার পর্যন্ত এই মেলা
চলবে।
ডেসকোর স্টলের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন মহিউদ্দিন কামাল। কেন এসেছেন
জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাহিদাপত্রের টাকা জমা দিতে এসেছি। এখন
সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেরি হয়। শুনলাম মেলায় ডেসকো এবার নতুন
সংযোগ দিচ্ছে। তাই চাহিদাপত্র নিতে চলে এলাম। তার মতো আরো অনেককেই
লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সংযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। মেলার প্রথমদিনেই
ডেসকো প্রায় ৫০টি সংযোগ দেয়া হয়েছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদ সারওয়ার (অব)
এনার্জি বাংলাকে জানান, গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
এজন্য নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে
বিদ্যুৎ বিল দেয়া ছাড়াও বিল সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। এমনকি
এ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের অভিযোগও করতে পারবেন। এছাড়া প্রি-
পেইড মিটার বিক্রিসহ, ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে বিল পরিশোধও করা যাবে
মেলায় বসেই। তিনি বলেন, গ্রাহকরা যাতে নতুন সংযোগ নিতে গিয়ে
হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যেন না যায়। সরাসরি
যোগাযোগ করে। অনেক সময় মধ্যস্থতাকারীর গাফলতির কারণেও সংযোগ পেতে
গ্রাহকদের দেরি হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০২১ সালে সরকারের ঘরে ঘরে
বিদ্যুৎ দেয়ার পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে ডেসকো। গ্রাহক সেবার
মান বাড়াতে ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া
আরো ৫টি গ্রিড স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত
হলে আগামী ২০২২-২৩ সালে পুরো বিদ্যুৎ চাহিদা পুরণ করতে পারবে
ডেসকো।
ডেসকোর কাছে মেলায় প্রায় ৮১টি নতুন সংযোগের আবেদন জমা হয়েছে।
চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে ৪০টির মতো। এর বিপরীতে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার
টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া প্রি-পেইড মিটার বিক্রিতে প্রায় ১০ হাজার
টাকা জমা হয়েছে।