মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতের বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রয়োজন: মৎস্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা (শনিবার, ১লা নভেম্বর ২০২৫):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষিখাতে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হলেও মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতকে এখনও শিল্প দরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই খাতে বিদ্যুৎ বিল কমাতে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি লাগবে। দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যনিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থে মৎস্য ও পোল্ট্রিতে বিদ্যুৎতের ভর্তুকি প্রয়োজন।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘ক্যাব যুব সংসদ-২০২৫’ -এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে টাকার অঙ্ক দেখে পিছিয়ে থাকা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অনুমোদন দিলে পুরো প্রক্রিয়া সহজ হবে।
বিদ্যুৎখাতে বৈষম্যের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, রাঙ্গামাটিতে ২২০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও স্থানীয় মানুষ সেই সুবিধা পায় না; অথচ সেই এলাকায় এখনও দিনে ৫-৬ বার লোডশেডিং হয়। রাজধানীতেও নিম্নবিত্ত এলাকায় লোডশেডিং থাকলেও উচ্চবিত্ত এলাকায় তা নেই—এ ধরণের বৈষম্য দূর করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, কপ৩০ সম্মেলনে ‘নেট জিরো কার্বণ এমিশন’ প্রতিশ্রুতি ধনী দেশগুলোর প্রতারণামূলক প্রস্তাব। ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাবে না অথচ কার্বণ নিঃসরণে প্রযুক্তি দিতে চায়। তিনি বলেন, বৈশ্বিক কার্বণ নিঃসরণে বাংলাদেশের ভূমিকা নগণ্য কিন্তু ভুক্তভোগী। ধনী দেশগুলো আসলে কার্বণ নির্গমন কমাতে নয়, বরং ‘নেট জিরো’ ধারণার আড়ালে নতুন প্রযুক্তি ব্যবসা ও কর্পোরেট মুনাফা বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে।
ক্যাব-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) -এর সভাপতি সাবেক শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।